চ্যানেল7বিডি ডেক্স: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য কানাডার সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। টরন্টোর ‘বেগম পাড়া’ এলাকায় পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক।
বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাচার হওয়া শত শত বিলিয়ন মার্কিন ডলার ফিরিয়ে আনার জন্য কানাডার সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।
কানাডায় পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধারের আহ্বান
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার শাসনামলে ওলিগার্ক ব্যবসায়ী, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে। এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কানাডায়, বিশেষ করে টরন্টোর “বেগম পাড়া” এলাকায় সম্পদ কেনার মাধ্যমে পাচার হয়েছে। তিনি কানাডায় পাচার হওয়া সম্পদ শনাক্ত, জব্দ এবং পুনরুদ্ধারে কানাডার সরকারের সহায়তা চান।
প্রধান উপদেষ্টা আরো যোগ করেন, তারা আমাদের জনগণের টাকা চুরি করে বেগম পাড়ায় সম্পদ কিনেছে। আমরা এই সম্পদ পুনরুদ্ধারে আপনাদের সহায়তা চাই। এটি আমাদের জনগণের সম্পদ।
কানাডার হাইকমিশনারের আশ্বাস
কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, কানাডা সরকার চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রক্রিয়া চালু রেখেছে এবং বাংলাদেশের সম্পদ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহায়তা করবে।
গণতন্ত্র ও সংস্কারে কানাডার সমর্থন
কানাডার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণ এবং সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, আপনারা যে মহৎ কাজ করছেন, আমরা তা সমর্থন করি। ইতোমধ্যে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। আমরা আরো কীভাবে সাহায্য করতে পারি, তা জানতে আগ্রহী।
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ
কানাডা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে জানান হাইকমিশনার। তিনি বলেন, কানাডার একজন মন্ত্রী শিগগিরই পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশ সফর করবেন।
কানাডীয় বিনিয়োগের প্রত্যাশা
অধ্যাপক ইউনূস নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা আরো বেশি কানাডীয় বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে। বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং আমরা কানাডীয় কোম্পানিগুলোকে তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করছি।
ঢাকায় কানাডার ভিসা অফিস স্থাপনের আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টা আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে বহু বাংলাদেশি কানাডায় বসবাস ও পড়াশোনা করছে। তাই ঢাকায় কানাডার একটি ভিসা অফিস স্থাপন করা প্রয়োজন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাসস