ডেস্ক রিপোর্ট : হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় আমরা স্পষ্ট করে বলেছি- তারা যেন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
বাংলাদেশে কথিত হিন্দু নির্যাতন এবং তাদের উপাসনালয়ে হামলার প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের সামনে প্রতিবাদের বিষয়টি উল্লেখ করে এক সাংবাদিক জন কিরবির কাছে জানতে চান- প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন কি না অথবা প্রেসিডেন্ট তার বন্ধু ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে সাক্ষাতের সময় হিন্দুদের ওপর ‘নির্যাতনের’ বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন কি না ? জবাবে জন কিরবি বলেন, ‘বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার প্রশাসন। আমরা বিষয়টি খুব, খুব, খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের ঘটনাগুলো মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন।
কিরবি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, যাতে তাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করে।
বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছেও ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জন কিরবি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় আমরা স্পষ্ট করে বলেছি- তারা যেন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বার বার জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সব বাংলাদেশির নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।