বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথিকৃত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি  বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হতো।— অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীরুহুল কবির রিজভী..

ইউসুফ হোসাইন(নাটোর) প্রতিনিধি..:// বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, “  বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথিকৃত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি  বাস্তবায়ন করলে বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হতো” শনিবার সকাল ১০টায় নাটোরের আলাইপুরে জেলা পরিষদ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে নাটোর জিয়া পরিষদ আয়োজিত “স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং জিয়াউর রহমান” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন নাটোর জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমুদুল হক চৌধুরী স্বপন, এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. শফিকুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। রিজভী আহমেদ আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ এখন তার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত ব্যক্তি, তিনি এই কাজটি করবেন বলেই আশা করি। তবে সময় ফুরিয়ে আসছে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ, মার্চ থেকে জুন—এভাবে পিছিয়ে গেলে আবার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হবে।”তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগে থেকেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। সরকারপক্ষ বলছে, যদি বিএনপি ক্ষমতায় এসে বাস্তবায়ন না করে? এটি অনুচিত প্রশ্ন। কারণ, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার। যে দল অঙ্গীকার করে, তাকে তা বাস্তবায়ন করতেই হবে। ”রিজভী অভিযোগ করেন, “হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষায় সবকিছু করেছেন। নিজেই বলেছেন, আমি যা দিয়েছি ভারত তা সারাজীবন মনে রাখবে। ভারতের সমর্থনেই তিনি ক্ষমতায় টিকে আছেন। ভারত সীমান্তে হত্যা, গুম, খুন, বিরোধীদের দমন নিয়ে কখনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি বরং একে প্রশ্রয় দিয়েছে।” প্রধান বক্তা দুলু বলেন, “যারা নির্বাচনী সময় দীর্ঘায়িত করে নতুন চক্রান্তে লিপ্ত, তারা যদি মনে করে বাংলাদেশের জনগণ বোকার স্বর্গে বাস করে, তাহলে তারা নিজেরাই বোকার রাজ্যে আছেন। জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। তারেক রহমানের ৩১ দফাতেই সেই সংস্কারের দিকনির্দেশনা রয়েছে। অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। ”সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, জিয়া পরিষদের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সালাম বিপ্লবসহ জিয়া পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *