পার্থ প্রতিম ভদ্র : ফরিদপুরে নিখোঁজের একদিন পর একটি বাড়ি থেকে সাত বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনার পর এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বিকেল ৫টা থেকে সাতটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নশিপুর গ্রামে।
বিকেল ৫টার দিকে ওই গ্রামের মো. হায়দার মোল্লা (৫৫) বাড়ির বারান্দার ঘরের ভিতরের মাচার নিজ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মো. হায়দার তাহিয়ার চাচাতো দাদা।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে হায়দারকে পিটুনী দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সন্ধ্যা অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, গণ পিটুনীতে মারা গেছে হায়দার মোল্লা। হায়দার মোল্লা নশিপুর গ্রামের জহিরউদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বলেন, পুলিশ গণ পিটুনী দেওয়া জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। তবে উন্মত্ত জনতা বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
হত্যার র্শিকার ওই শিশুটির নাম তাহিয়া (৭)। সে ওই গ্রামের জিয়া মোল্লার মেয়ে। তাহিয়া সরকারি চর নশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় ওই শিশুটি গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ হত্যাকান্ড ধামাচাপা দিতে হায়দার তার সেমি পাকা বসত ঘরের বারান্দার বাপাশের কক্ষের মাচার নিচে বস্তার মধ্যে থেকে তাহিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এলাকাবাসী সুত্রে আরও জানা গেছে, হায়দারের বিরুদ্ধে এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে তিনি দীর্ঘদিন জেল খেটেছিলেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা জানান, গণ পিটুনীতে নিহত হয়েছে হায়দার মোল্লা। এ ব্যাপারে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।