প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও’র সাক্ষাৎ 

বাসস: ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের বন্দর ও লজিস্টিক অবকাঠামো খাতে কৌশলগত বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

দাভোসে অনুষ্ঠিত তাঁদের আগের আলোচনায় ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রধান চট্টগ্রামের নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। প্রস্তাবিত এই বিনিয়োগের লক্ষ্য হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের যানজট হ্রাস, কার্বন নির্গমন কমানো এবং বাংলাদেশের প্রধান সামুদ্রিক প্রবেশপথের দক্ষতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটি (বাংলাদেশ) সম্ভাবনাময় দেশ। বাংলাদেশে আসুন এবং চলুন আমরা এর সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করি।’

সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম তার প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা এই অংশীদারিত্বের জন্য অপেক্ষা করছি। আপনাদের সমৃদ্ধি মানেই আমাদের সমৃদ্ধি। চট্টগ্রাম থেকে দুবাই, আফ্রিকা—এটাই আমাদের যৌথ স্বপ্ন।’

প্রধান উপদেষ্টা ডিপি ওয়ার্ল্ডকে মৎস্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং হালাল মাংস রপ্তানির মতো বাংলাদেশের বিকাশমান খাতে আরও ব্যাপক সহযোগিতার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া এবং আমরা নিশ্চিত করব যে এটি যেন বাস্তবায়ন হয়।’

ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রধান ইতিবাচক সাড়া দিয়ে জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ এবং সামগ্রিক সহায়তা নিয়ে কাজ করছে।

তিনি আরও জানান, চীন ও ভারতের ট্রেড মার্টের সফলতার পর তাদের নিজ দেশে ‘বাংলাদেশ মার্ট’ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কাঠ, মার্বেল, কৃষিপণ্যসহ বাংলাদেশের পণ্যসমূহ বিশ্বে পরিচিত করাতে চাই’।

বৈঠকে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘সাধারণ বাংলাদেশিদের ভিসা সমস্যা সমাধানে আমরা কাজ করছি এবং শিগগিরই এর সমাধান আশা করছি।’

বৈঠকে জানানো হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি কোম্পানি সম্প্রতি প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করেছে।

ডিপি ওয়ার্ল্ড, দুবাই-ভিত্তিক একটি শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক লজিস্টিক কোম্পানি, যা বন্দর উন্নয়ন, সামুদ্রিক সেবা, লজিস্টিক এবং প্রযুক্তি-চালিত বাণিজ্য সুবিধার জন্য সুপরিচিত।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *