পেঁয়াজের দাম নিয়ে সুখবর

অনলাইন ডেক্স: পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা এবং নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের কেজি ৫৫-৯০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তবে পাবনার স্পেশাল পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৮৫-৯০ টাকা। নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বড় রসুনের দাম কেজিপ্রতি ২৪০-২৬০ টাকা। সরবরাহ বৃদ্ধি এবং শুল্কমুক্ত আমদানির কারণে বাজার পরিস্থিতি ক্রেতাদের জন্য এখন সহনীয়।

কারওয়ান বাজারসহ পাইকারি বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে, পেঁয়াজের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে কাস্টমস ডিউটি এবং রেগুলেটরি শুল্ক প্রত্যাহার করে এনবিআর। শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

মালিবাগের ব্যবসায়ী মাহিম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে, পাশাপাশি দেশি নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম ক্রমেই কমছে। শুল্কমুক্ত সুবিধা এবং সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে খুচরা ও পাইকারি বাজার উভয় ক্ষেত্রেই পেঁয়াজের দাম কমে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি তৈরি হয়েছে।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা জালাল জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে নতুন আলু প্রতি কেজি ৩৮-৪৫ টাকা এবং আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সালাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, নতুন আলু ও পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে বাজারে আসায় দাম কমছে। আগামী সপ্তাহে আরও দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের বাজারে এখন স্বস্তি ফিরেছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, অতিরিক্ত দাম কমলে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। তাই আমদানি শুল্ক পুনরায় আরোপ করার মতো ভারসাম্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, কৃষক এবং ভোক্তা উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় বাজারে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য পাবেন এবং কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *