জেলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব শাইখুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক নেত্রকোনার পূর্বধলায় কুলখানির দাওয়াতে অংশ নিয়েছেন। উনার সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন, আল্লামা মনির হোসেন কাসেমী, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ,, আল্লামা আজীজুল হক ইসলামাবাদী, যুগ্ম মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ,, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকা উত্তর, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এ সময় প্রিয় ব্যক্তিকে দেখতে আশপাশের মানুষ ভিড় করেন। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটায় তিনি হেলিকপ্টারে জেলার পূর্বধলা হেলিপ্যাড মাঠে অবতরণ করেন। পরে সেখান থেকে গাড়িতে করে রোজা ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জুগলী গ্রামে দাওয়াতকারী শিল্পপতি মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের বাড়ি যান। সেখানে সোহেলের মা হালিমা খাতুনের কুলখানি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পরে দোয়া শেষে তিনি বিকেল সাড়ে পাঁচটায় হেলিকপ্টারে চড়েই বিদায় নেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও মাওলানা মামুনুল হকের বক্তব্যে জানা যায়, মাওলানা মামুনুল হকের বাবার ছাত্র ছিলেন উপজেলার জারিয়া ঝাঞ্জাইল মাদ্রাসার মুহতামিম পীরে কামেল হযরত মাওলানা জিয়াউল হক। আর পীরে কামেল হযরত মাওলানা জিয়াউল হকের আত্মীয় হলেন দাওয়াতকারী রোজা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান শিল্পপতি মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির।
তার ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার পর গত ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠানে আল্লামা মামুনুল হককে দাওয়াত করেন। গতকাল শনিবার কুলখানি অনুষ্ঠানের আয়োজনে বিশেষ দাওয়াতপ্রাপ্ত হয়ে বাবার ছাত্রের আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন মাওলানা মামুনুল হক। এদিকে প্রিয় বক্তার আগমনের খবর পেয়ে আশপাশের এলাকার মানুষও ভিড় জমান মাজহারুল ইসলাম সোহেলের বাড়িতে। কেউ কেউ আসেন হেলিকপ্টার দেখতে আর কেউ কেউ আসেন নিজের প্রান প্রিয় হুজুরকে দেখতে। এ নিয়ে চায়ের স্টল, হাট বাজারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।