অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ তাদের শাসনামলে দেশকে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। তিনি বলেন, “লজ্জাজনক পতনের পর পলাতক অবস্থায় থাকলেও তাদের খাসলত বদলায়নি। ছাত্রলীগের সদস্যরা ভারতে পলাতক অবস্থায় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। অতীতে তারা দেশে একই ধরনের অপরাধের রেকর্ড গড়েছিল।”
সোমবার রাতে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
“ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ”
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, “গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছে। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের সব চক্রান্ত মাটিতে মিশে গেছে। এটি তাদের কল্পনার বাইরে ছিল।”
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা এবং বিচারিক প্রহসনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “২৮ অক্টোবর প্রকাশ্যে পিটিয়ে মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কথিত বিচারের নামে একের পর এক নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।”
“আওয়ামী লীগের পতন ইতিহাসের শিক্ষা”
জামায়াত আমির বলেন, “ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। এটি এক ঐতিহাসিক ঘটনা। আমরা আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এবং তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের শীর্ষ নেতারা ফাঁসির মুখোমুখি হয়ে কোনো অপরাধ স্বীকার করেননি, বরং হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে আমাদের সম্মানিত করেছেন। এতে দেশ ও জাতি গৌরবান্বিত হয়েছে।”
ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশের আহ্বান
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সমাবেশে বলেন, “ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গড়তে জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্য ধরে রাখতে সর্বোচ্চ সংযম প্রয়োজন। অন্যথায় ফ্যাসিবাদী শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি আবু নাহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।