অনলাইন ডেক্স: আজ ৯ই ডিসেম্বর, এক গৌরবময় দিন, নেত্রকোনা মুক্ত দিবস। এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পথে নেত্রকোনা শত্রুমুক্ত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে নেত্রকোনার মাটি বরণ করে স্বাধীনতার প্রথম আলো।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেত্রকোনার সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তাদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের ফলেই এ জেলার মাটি পাক হানাদারমুক্ত হয়। এই দিনটি আমাদের জন্য শুধু আনন্দের নয়, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনেরও দিন।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা: নেত্রকোনার প্রতিটি ধুলিকণায় যেন লুকিয়ে আছে সেই বীর শহীদদের রক্ত। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপন করেছে। আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সেই সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা দেশের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা: বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন আমাদের জাতির গর্ব। তাদের অদম্য সাহস, আত্মত্যাগ, এবং দেশপ্রেম আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। নেত্রকোনার মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিকূল পরিবেশেও যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা আজও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।
আমাদের দায়িত্ব: নেত্রকোনা মুক্ত দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা সহজে আসেনি। আমাদের পূর্বপুরুষদের ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে সম্মান জানাতে আমাদের সকলের উচিত দেশের জন্য কাজ করা এবং পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানো।
আজকের এই দিনে, আমরা বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি সকল শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আমরা আজ স্বাধীন।
“জয় বাংলা,”
নেত্রকোনা মুক্ত দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে তাদের প্রতি আমাদের অন্তহীন কৃতজ্ঞতা।