জেলা প্রতিনিধি : নেত্রকোণায় হিন্দু পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীর বিরুদ্বে। নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার নিজ টেংগা গ্রামের এক হিন্দু পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক জনের বিরুদ্বে। একই গ্রামের সোহাগ মিয়া গ্রামীন পঞ্চায়েত সমিতির টাকা আত্ন সাধ করায় তার বিরুদ্বে মামলা করায় জীবণের নিরাপত্তায় ভোগছে হিন্দু পরিবারটি।
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার নীজ টেংগা গ্রামে পঞ্চায়েতের লোকজন মিলে একটি গ্রামীন সমিতি ঘটন করে অসহায় পরিবার বা দুর্যোগ সময়ে সহায়তার জন্য। বেশ কয়েক বছর চলছিল ঠিকঠাক মত। সমিতির সদস্যরা প্রতিমাসে চাঁদা দিয়ে তৈরী করে মোটা অংকের তহবিল। এই তহবিলের টাকা সমিতির সদস্য সোহাগ মিয়া সমিতির ১২ লাখ আত্নসাধ করায় মত বিরুধ দেখা দেয় সদস্যদের মধ্যে। গ্রাম্য শালিশে মিমাংশা না হওয়ায় বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সুকুমার চন্দ্র মামলার সাক্ষী হওয়ায় তার উপড়ে চলে নির্যাতন বলছেন ভোক্তভোগী। গ্রামবাসীর কাছে কোন বিচার না পেয়ে নিয়েছেন আইনের আশ্রয়।
ভোক্তভোগী সুকুমার বলেন, “গ্রামে সততা যুব উন্নয়ন নামে একটি সমিতি ছিল, যেখানে সোহাগ মিয়া ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করতেন। প্রায় ৪১ মাসের কার্যক্রম শেষে সমিতির প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে সোহাগ মিয়া।
এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একাধিকবার শালিস বসে এবং সোহাগ মিয়া টাকা ফেরত দেবার অঙ্গীকার করলেও পরবর্তীতে কোনো টাকা ফেরত দেননি। যে কারণে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে নেত্রকোণার আমলী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে সুকুমার প্রথম স্বাক্ষী।
সুকুমারের অভিযোগ, মামলার পর থেকেই তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও হয়রানি করে আসছে সোহাগ মিয়া। সম্প্রতি নিজের সেচ পাম্পে বৈদ্যুতিক তার কাটার ঘটনার অভিযোগে সুকুমার ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়।
সুকুমার চন্দ্র আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি এখন আমার নার্সারি ও ফসলী জমিতেও যেতে পারি না। নিজের সেচ মেশিন নিয়েও আতঙ্কে থাকি, সুকুমার আরও বলেন প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছি যেন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় এবং আমি ও আমার পরিবার এই হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সোহাগ মিয়া প্রভাশালী হওয়ায় গ্রামবাসী বিষয়টি মিমাংশায় নিতে পারেনি। অসহায় হিন্দু পরিবারটি প্রভাবশালীর অথ্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মিথ্যা মামলা সহ হয়রানীর শিকার বলছে গ্রামবাসী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিষয়টি মীমাংসার জন্য বারবার শালিস ডাকলেও অভিযুক্ত ব্যক্তি তাতে অংশ নিচ্ছেন না।
আমার সেছ যন্ত্রের কাছেই সুকুমারের সেছ যন্ত্র, আমার সেছ যন্ত্র সুকুমারেই নষ্ট করেছে আমার বিশ্বাস । তার সাথে আমার সমিতি নিয়ে মামলাও রয়েছে বলছে অভিযোক্ত সোহাগ মিয়া।
এ ব্যাপারে আটপাড়া থানার ওসি আশরাফুজ্জামান বলেন, আমি দুই পক্ষের কাছ থেকেই অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।