বারহাট্টা উপজেলা প্রতিনিধি : বারহাট্টা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আয়োজনে দলিল লেখকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শুদ্ধাচার চর্চা, সুশাসন ও জবাবদিহিতা জোরদারকরনের জন্য একদিনের অভ্যান্তরীন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বারহাট্টা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস চত্বরে দিন ব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ তাইজুল ইসলাম প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন এসময় উপস্থিত ছিলেন আটপাড়া উপজেলার সাব. রেজিস্ট্রার মদন উপজেলা সাব_ রেজিস্ট্রার নান্দাইল উপজেলা সাব_রেজিস্ট্রার প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন বারহাট্টা সাবেক সিনিয়র সাব রেজিস্ট্রিার জনাব শেখ আবদুস সামাদ আজাদ বতর্মানে তিনি ময়মনসিংহ নান্দাইল সাব রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত আছেন।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া বারহাট্টা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সনদ প্রাপ্ত সকল দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে আবদুস সামাদ আজাদ বলেন, মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে যে জমি ক্রয় করেন, সেটা বংশ পরমপরায় নির্বিঘ্নে ভোগদখলের জন্য রেজিস্ট্রি করতে, একজন দলিল লেখকের শরনাপন্ন হন। একজন দলিল লেখক হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে, ঐ জমির সমস্ত কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে নির্ভুলভাবে দলিল লিখে সঠিক বাজার মূল্য নির্ধারণ করে স্ট্যাম্প ফি এবং রেজিস্ট্রেশন ফি সহ যাবতীয় সকল সরকারি ফিসের টাকা সোনালী ব্যাংকে জমাদান পুর্বক পে-অডারের কপি দলিলের সাথে সংযুক্ত করে, সাব-রেজিস্ট্রারের এজলাসে দাখিল করা। একজন দলিল লেখক হিসেবে আপনাদের অবশ্যই এসব কার্য অত্যান্ত দায়িত্বশীলতার সাথে সম্পন্ন করতে হবে, যাতে কোনো প্রকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় বা জন হয়রানির অভিযোগ না ওঠে।
সাব-রেজিস্ট্রার তিনি আরও বলেন, কোনো কাগজপত্র বুঝতে অসুবিধা হলে আপনারা অবশ্যই যিনি দায়িত্বে আছেন তার কাছে পরামর্শ নিতে পারবেন। তিনি দলিলের আইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও করেন এবং দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বারহাট্টা উপজেলা সাব- রেজিস্টার তাইজুল ইসলাম।
দলিল লেখকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে আরও বেশী সতর্ক এবং দায়িত্বশীল হতে হবে, কারন দলিল লেখকরা কখনই জবাবদিহির উদ্ধে নয়। জবাবদিহিতার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, একটি রেজিস্ট্রিকৃত দলিল সংক্রান্ত যেকোন জটিলতায় আপনাদেরকে অবশ্যই সর্বাদালতে জবাবদিহি করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরেই ভুমি রেজিস্ট্রেশন বিভাগে অফিসার সংকট থাকায়, একজন অফিসার একাধিক অফিসে দায়িত্ব পালন করার কারনে, অফিসগুলোতে ভিড় জমে যায়। দলিল লেখকগণ একটি দলিল দীর্ঘসময় ধরে লিখে থাকেন। অথচ জন দুর্ভোগ এড়াতে একজন সাব-রেজিস্ট্রার’কে মাত্র কয়েক মিনিটে সেই দলিলের রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পন্ন করতে হয়। এটা খুবই দুঃখজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে তিনি এ খাতের অফিসার স্বল্পতা দুর করার জন্য, সরকার সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দলিল লেখকদের সতর্ক করে দিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, রেজিস্ট্রেশন কার্য সম্পন্ন করতে, অফিসে কোনো প্রকার অর্থের লেনদেন হয় না। কেউ কখনও কারো সাথে কোনো প্রকার অর্থের লেনদেন করবেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে একাধিক দলিল লেখক জানান, বতর্মান সাব-রেজিস্ট্রার স্যার অত্যান্ত সৎ, অভিজ্ঞ এবং একজন মানবিক অফিসার। তিনি দলিল লেখক এবং সেবা গ্রহিতাদের সাথে সব সময়ই অত্যান্ত বিনয়ী এবং ভদ্র ব্যাবহার করে সেবা প্রদান করে থাকেন। স্যারের ব্যাবহারে সেবাগ্রহিতা অত্যান্ত খুশি আমরা স্যারের দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।
বারহাট্টা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত মহিলা নকল নবীশ শাহানশা সহ, সকল শ্রেনীর কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ জানান, অফিসার হিসেবে বতর্মান সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ তাইজুল ইসলাম স্যার একজন পরিস্কার,পরিছন্ন, সৎ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানবিক অফিসার। এরকম অফিসার বাংলাদেশের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে থাকলে জনগনের ভোগান্তি দুর হয়ে ভুমি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।