নেত্রকোণায় কৃষকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ !

গজনবী বিপ্লব, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ  নেত্রকোণায় অবৈধভাবে সরকারি জায়গা থেকে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে কৃষক কদ্দুছ মিয়ার বিরুদ্বে। জেলা প্রশাসক বরাবর এক লিখত অভিযোগ করেন কান্দুলিা গ্রামের নাইমুল ইসলাম রাজু। অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে নেত্রকোণা সদরের সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে কান্দুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের জামে মসজিদের বিপরীতে নেত্রকোণা মোহনগঞ্জ রাস্তার পাশে  সরকারী জায়গা থেকে কদ্দুছ মিয়া তার বাড়ির পাশে থাকা একটি কদম, একটি  মেরা, একটি মেহগুনি ও তিনটি বড়বড় রেইন্ট্রি কড়ই গাছ সরকারী কোন অনুমতি ছাড়াই কেটে বিক্রি করে দেন।

কান্দুলিয়া গ্রামের রহিছ উদ্দিন বলেন, আমরা গ্রামবাসী যতটুকু জানি যে জায়গায় গাছগুলি কাঠা হয়েছে তা সরকারী জায়গা। সরকার একুয়ার করেছিলেন রাস্তা নির্মান করার জন্য। এই একুয়ারের জায়গায় একটি ব্রীজও নির্মান করা হয়েছিল। এত টাকা ব্যায় করে পরে কেন এই ব্রীজটি ব্যাবহার করা হয়নি তা আমরা জানিনা। একই গ্রামের রুস্তম আলী বলেন, আমরা য়তটুকু জানি এই জায়গাটি সরকারী। যদি যায়গা সরকারী হয় তাহলে গাছগুলিও সরকারী জায়গায়। কদ্দুছ মিয় সরকারী জায়গার গাছ কেটে অন্যায় করেছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযোক্ত কদ্দুছ মিয়ার বাড়ির পাশে বেশ কয়েকটি গাছ কাটার চিহ্ন রয়েছে এখনো।

এ ব্যাপাওে কদ্দুছ মিয়া জানায়,  আমি আমার ব্যাক্তিগত জায়গায় গাছ কেটেছি। যে জায়গায় গাছ কেটেছি তা রাস্তার পাশে থাকলেও সরকার একুয়ার করেনি। নাইমুল ইসলাম রাজুর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎ চক্রবর্তী সহকারী কমিশনার তথ্য ও অভিযোগ শাখা নেত্রকোণা ২২ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তাকে এক চিটির মাধ্যমে নির্দেশ দেন তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ উপজেলা ভুমি অফিস থেকে আশরাফুল কবীর, সহকারী কমিশনার ভূমি, নেত্রকোণা সদর, সরজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ( নায়েব ) কে।

সিংহের বাংলা ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ( নায়েব ) মধূ সুধন সরকার গত ৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, কান্দুলিয়া মৌজায় কানাদুলিয়া মধ্যপাড়া জামে মসজিদের বিপরিতে নেত্রকোণা মোহনগঞ্জ রাস্তার পাশে কদ্দুছ মিয়া নামীয় ব্যাক্তি তিনটি রেইন্টি কড়ই গাছ,  একটি ছোট কদম গাছ, একটি মেরা গাছ, একটি ছোট মেহগনি গাছ কর্তন করেন। গাছের মূল দেখে বড় মনে হয়না। অভিযোগ কারির অভিযোগটি পুরোপুরি সত্য নয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগির নিয়ন্ত্রণাধীন ভূমি না মালিকানা ভূমি তাহা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করলে বুঝা যাইবে। তানিয়া তাবাসুম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নেত্রকোণা সদর, নেত্রকোণা গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ একই মত পোষণ করে জেলা প্রশাসকের বরাবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। নাইমুল ইসলাম রাজু আরও বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে  তদন্তও হয়েছে। তবে সঠিক তদন্ত হয়নি। ইউনিয়ন নায়েব অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তদন্ত সঠিক করেননি। আমরা এর সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *