নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে আ. লীগ নির্বাচন করতে পারবে না: ইসি সানাউল্লাহ

ডেক্স নিউজ: আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কোনো কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই। তাই, তারা সেই রাজনৈতিক দলের নামে যেকোনো ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগওরগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় পরিবর্তনগুলো উত্থাপন করার সময় এই মন্তব্য করেন।

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এই আইনের খসড়াটি অধ্যাদেশ হিসেবে আইনে রূপান্তরিত হবে।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দলের প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে।

খসড়া আরপিও-তে পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোনো রাজনৈতিক দলকে ‘অবৈধ বা বাতিল’ ঘোষণা না করা হয় কিন্তু সরকার তার কার্যক্রম স্থগিত করে, তবে সেক্ষেত্রে সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং তার জন্য সংরক্ষিত প্রতীক স্থগিত থাকবে।

পলাতকদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন খসড়া আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করেছে।

সানাউল্লাহ বলেন, যেকোনো আদালতে পলাতক ঘোষণা করা ব্যক্তি নির্বাচনের জন্য বা (সংসদের) সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য হবেন।

২০২৫ সালের ১২ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) দলের নেতা-কর্মীদের বিচার সম্পন্ন করা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন স্থগিত করে।

সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আয়োজিত যেকোনো ধরণের প্রকাশনা, গণমাধ্যম সম্পৃক্ততা, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, সমাবেশ, সভা, সমাবেশ এবং সম্মেলন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com