তারমিন আক্তার, বাজিতপুর নিকলী প্রতিনিধি : কবি মুহিবুর রহিমের জন্ম ১৯৭৩ সালের ১৫ জানুয়ারি। হাওর অধ্যশিত কিশোরগঞ্জ জেলায় নিকলী উপজেলার প্রত্যান্ত দ্বীপ অঞ্চল ছাতিরচর গ্রামে। নব্বইয়ের দশক শুরু করে একজন স্বকীয় ধারার, শক্তিমান কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। তার পিতার নাম মরহুম আমজাত হোসেন, মাতা কমলা খাতুন। ১৯৮২ সালে নিজ গ্রামে বই পড়া আন্দোলনের মাধ্যমে তার বই ও সংস্কৃতি জগতে প্রবেশ। পড়াশোনা করেছেন সাহিত্যে বিষয়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমিতে তরুণ লেখক প্রকল্পে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: অতিরিক্ত চোখ, হে অন্ধ তামস, অনাবাদি কবিতা, দুঃখগুলো অনাদির বীজপত্র, সবুজ শ্যামল মন, শিমুল রোদে রঙিন দিন, হৃদয়ে আমার কোনো মন্দা নেই, হাওর বাংলা, নরসুন্দা নদীর দেশে, এবং ভাটি বাংলার লোক, ভাষা ও লোকসাহিত্য, ইত্যাদি।
মৌলিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ মহিবুর রহিম শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পদক, সৃতি ৫২ সম্মাননা, রকি সাহিত্য পুরুষ্কার ২০১১, মেঠোপথ সাহিত্য পদক ২০১৩, শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহিত্য পদক ২০১৪ ও সুকুমার রায় সাহিত্য পুরুষ্কার ও সম্মাননা ২০১৮ লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে নিকলী ও ছাতিরচরে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী কন্যা ছেলে সহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন। তার জানাযায় হাজার হাজার লোক অংশগ্রহন করেন। কবি মহিবুর রহমানের মৃত্যুতে অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।