নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি: কতটা ভয়ংকর?

অনলাইন ডেস্ক!! বছরের শুরুতেই চীনে ছড়িয়ে পড়া হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জাপান, মালয়েশিয়া এবং ভারতেও আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আতঙ্কের কোনো কারণ নেই এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতামত:
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)–এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, “এইচএমপিভি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই একটি শ্বাসতন্ত্রীয় ভাইরাস। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মানলেই এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ভাইরাসের ইতিহাস ও গবেষণা:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী জানান, ২০০০-০১ সালেই ঢাকায় প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। একটি গবেষণায় দেখা যায়, শ্বাসতন্ত্রীয় রোগীদের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে, ২০১৪-১৬ সালের গবেষণায়ও এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।

ভাইরাসের উপসর্গ:
এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে সাধারণত সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে তরল বের হওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। শিশু, বয়স্ক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।

প্রতিরোধ ও সতর্কতা:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসের এখনো কোনো প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তবে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা।
জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং মাস্ক পরিধান করা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদক্ষেপ:
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, “বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। কভিড-১৯ এর মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো এ ভাইরাস নিয়ে কোনো বিশেষ সতর্কতা জারি করেনি। তবে বাংলাদেশে যথাযথ প্রস্তুতি এবং সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।