নতুন বাংলাদেশ গড়তে ‘তারুণ্যের উৎসব’ চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত : আসিফ মাহমুদ

ঢাকা, ৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : দেশে তারুণ্যের শক্তিকে উজ্জীবিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলমান ‘তারুণ্যের উৎসব’ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়।

এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির একটি পর্যালোচনা সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগসহ উৎসব বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ২৫টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভায় উপদেষ্টা উৎসবের অগ্রগতি মূল্যায়ন করেন এবং বিস্তৃত ও সফল বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

তিনি জানান, উৎসবকে আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সার্কসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনকে যুক্ত করার উদ্যোগ ও একটি ‘গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট’ আয়োজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়েছে।

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করা এই উৎসব দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। তরুণদের মধ্যে সহযোগিতা, উদ্যম ও আত্মকর্মসংস্থানের মানসিকতা তৈরি করছে এই আয়োজন।

শুরুতে ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলেও, সরকার পরবর্তীতে এর মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

উৎসবের প্রথম পর্যায়ে আয়োজিত ১৩ হাজার ৭১১টি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৩ জন তরুণ-তরুণী, যাদের মধ্যে নারী ছিলেন ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭১ জন। নারীদের জন্য দুই হাজার ৯৩১টি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্ট আয়োজন করা হয়।

ক্রীড়া পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এবং জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় ইউনিয়ন থেকে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজনও করা হয়।

‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি বিশেষ উদ্যোগ, যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং ২৬টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাতীয় ঐক্য ও সহযোগিতার চেতনাকে জাগিয়ে তোলা, উদ্যোক্তা হিসেবে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা এবং স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ইতিবাচক উদ্যোগগুলো আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরা এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *