নওগাঁয় সোনার বাংলা সমিতি’র সকল গ্রাহকের টাকা পরিশোধ, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সাধারণ সম্পাদকসহ স্টাফরা!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় গত ২০২৪-২৫ সালে গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে সজাগ, দোয়েল, বন্ধু মিতালি, সমতাসহ বেশ কিছু সমিতি যা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল পুরোটা জেলায়। কিন্তু  ‘সোনার বাংলা সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ সমিতি প্রতিষ্ঠান, যার রেজি- ১৭৭৩, ব্যাতিক্রম আচোরন দেখিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোঃ ফয়সাল সরদার।

নওগাঁ জেলা শহরের চকদেব তরফদার ডাক্টার পাড়ায় অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে কিছুদিন পূর্বে ৪/৫ জন গ্রাহক ও স্টাফরা মিলে সাংবাদিকদের ডেকে এক ঝুলি গল্প কথার কিচ্ছা কাহিনী বলতে শুরু করে। তারা বলে, পরিচালক সকল গ্রাহকের টাকাসহ তাদের নিজেদের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে চলে গেছে। বর্তমানে সকল গ্রহক এসে টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য  তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। তাদের অবস্থা বর্তমানে শোচনীয়। এসব অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালক সাথে যোগাযোগ করে ব্যার্থ হয়ে দেশে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে নিউজ প্রকাশ হয়েছিল। পত্র-পত্রিকা সহ অনলাইন পোর্টালে খবর প্রকাশিত হলে, পরিচালক ফয়সালের দৃষ্টিগোচর হলে, সাথে সাথে তিনি সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিস্তারিত বিষয় গুলো জানান।

তিনি বলেন, তিনি বিদেশ যাওয়ার পূর্বেই সকল গ্রাহকদের ডেকে একে একে তাদের গচ্ছিত টাকা গুলো ফেরত দেন এবং গ্রাহকের কাছে থাকা সমিতি-র পক্ষ থেকে রাখা,বই, চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত নেন। বাঁকী ৩ জন গ্রাহকের টাকা ক্যাশ না থাকায়, তাদেরকে টাকা ফেরত দিতে না পেরে,তাদের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেন। পরবর্তীতে সমিতির পরিচালনা করতে তিনি অস্বীকৃতি জানালে,স্টাফ পার্টনার মিলে সোনার বাংলা সেভিংস এন্ড ক্রেডিট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ সমিতি প্রতিষ্ঠানটি চালাবে মর্মে সম্মত হয়ে পরিচালক জানালে, পরিচালক তাদের সবাইকে কমিটির অন্তর্ভুক্ত করে, মাঠে সমিতির প্রায় ১৮/২০ লক্ষ টাকা থাকায়, প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা তারা দেবে মর্মে সম্মত হয়। পরিচালক তাদের কথা মত সমিতির সকল কার্যক্রম আপনার পার্টনার এবং স্টাফদের হাতে ছেড়ে দেন। ২৩ মাস তারা প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার পর গত জুলাই মাসে পরিচালক বিদেশ গেলে, সেই সুযোগ নিয়ে যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় পার্টনার  এবং স্টাফরা সাধারণ সম্পাদক এবং একাউন্টিং থাকা মোছাঃ তাসলিমা জানায়, বর্তমানে স্টাফদের মধ্যে রিনা, সাহানাজ নামের দুইজন মহিলা মাঠের টাকা গুলো কালেকশন করছে।মাঠের টাকা কালেকশন করে গত জুলাই মাস পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও একাউন্টিং অফিসার তাসলিমা কাছে জমা দিতো। কিন্তু পরিচালক বিদেশে যাওয়ার পর থেকে, কোন প্রকারে টাকা রিনা জমা দেয় নাই।

সকলের টাকা তুলে রিনা তার নিজের কাছে রাখছে,অফিসের ভাড়া পর্যন্ত বাঁকী আছে, এ মাসেই অফিস ছেড়ে দেবে বলে জানান। মাঠ কর্মী রিনা জানায়, মাঠে অনেক টাকায় পড়ে আছে। প্রথমে সে তার নিজের ৩ লক্ষ টাকা ১জন গ্রাহককে ঋন দিয়েছে বলে জানালে পরবর্তীতে কথা ঘুরিয়ে নিয়ে বলে,সোনার বাংলা এনজিও ঋন দিয়েছে। পরিচালক ফয়সাল গ্যারান্টার হয়ে, ব্র্যাক ও সেবা নামের দুটি এনজিও থেকে ৪লক্ষ টাকা ঋন নিয়েছিল,মাঠের টাকা তুলে সেই ঋন গুলো পরিশোধ করেছে। তার এমন কথায়,সাংবাদিকরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে, সে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনা কথার এক পর্যায়ে সে বলে, ১ লক্ষ৩০ হাজার টাকা ঋন নিয়েছিল, সেটার কাগজপত্র বা কোন কোন ব্র্যাঞ্চ থেকে টাকা তোলা হয়েছে জানতে চাইলেও সে কোন কাগজপত্র বা কিছুই না জানিয়ে চুপ হয়ে থাকে। সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, একাউন্টে থাকা তাসলিমা জানায়, মাঠের সকল টাকা রিনা ও শাহানাজ নামের মাঠকর্মী তুলছে কিন্তু টাকা গুলো কি করছে একমাত্র তারাই জানে।

এদিকে পরিচালক সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাহারো প্রকার গ্যারান্টার তিনি হন নাই বা কোন টাকাও নেন নাই।  এগুলো মিথ্যা বলে তারা মাঠের টাকা গুলো আত্মসাৎ করছে এবং তিনি সমিতির দ্বায়িত্ব তাদেরকে দিয়ে বড় ভুল করেছেন বলে জানান। যে সব গ্রাহক টাকার দাবী করছিল,তাদের কাছে কি কি ডকুমেন্ট আছে জিজ্ঞাসা করলে,তারা হতভম্ব হয়ে যায় এবং কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারে না, চেক ও স্ট্যাম্প আছে কি-না জিজ্ঞাসা করলে,কেহই আর কোন, কথা বলতে পারে না এবং আস্তে আস্তে সকলে চলে যায়। পরিচালক ফয়সাল বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে সা্জানো,গোছানো সমিতি তছনছ করছে,এ ব্যাপারে পরিচালক ফয়সাল প্রশাসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

নওগাঁ জেলা সমবায় কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্-হিল- আবিদ জানান, পরিচালক এ বিষয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে অভিযোগ দিলে আমরা অবশ্যই আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করবো বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com