এ.বি.এম.হাবিব : নওগাঁয় বৈদ্যুতিক মিটার চুরির সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আটটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানান, গত১৪ নভেম্বর শুক্রবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো,সদর উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার লতিফের ছেলে মাসুদ রানা (৩৪),আনন্দনগর এলাকার সামাদ দেওয়ানের ছেলে সঞ্জীব দেওয়ান (৩০), সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল (৩২) চকরামপুর শিয়ালাপাড়া এলাকার পিন্টু সরদারের ছেলে ইরাক (৩২), চকরামপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার সানোয়ারের ছেলে ফায়সাল (৩০), কাঠালতলী ভবানীপুর এলাকার মামুনুর রশিদের ছেলে হাকিম (২৪) ও বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানার আত্তাব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ (৩০)।
দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁ, জয়পুরহাট এবং বগুড়া জেলায় রাতের আঁধারে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরি করে আসছিল সংঘবদ্ধ এই চোর চক্রটি। চক্রের সদস্যরা মিটার চুরির পর তা ফিরে পেতে মোবাইল ফোন নম্বর মিটার বক্সের মধ্যে রেখে যেতেন। পরে এসব নম্বারে ফোন করলে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে টাকা দাবি করতেন তারা।
সংবাদ সন্মেলনে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি মহাদেবপুর উপজেলার দোহালী গ্রামে অবস্থিত,রাজেস কুমার গুপ্তের মালিকাধীন জেকে এগ্রো ইন্ড্রাট্রিজ রাইস মিল থেকে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয় এবং মিটার বক্সে চোর চক্রের সদস্যরা একটি মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায়। এর দুদিন পর ওই একই স্থানের গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরি হয় এবং সেখানেও মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যাওয়া হয়। রেখে যাওয়া ওইসব নম্বরে ভুক্তভোগীরা ফোন দিলে চোর চক্র বিকাশে টাকা পাঠালে তারা মিটার ফেরৎ দিবে বলে জানায়।
তিনি আরো বলেন, চুরি হওয়া এক মিটার মালিকরা বিদ্যুৎ অফিসকে অবগত করলে বিদ্যুৎ অফিস পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেয়।পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে তাদের গ্রেফতার করেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরিসহ ডাকাতির মামলাও রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার চুরির কথা তারা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হবে তিনি জানান।