ইউএনবি নিউজ: দেশের চিকিৎসায় ভরসা রেখে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান দেশেই চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জামায়াত আমির হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরা উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
‘আমাদের কাছে তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে অনেক অনুরোধ ছিল। আমিরের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আল্লাহর ওপর ভরসা করে আমরা বাংলাদেশেই অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’ তিনি জানান।
ডা. শফিকুর রহমান নির্দিষ্ট দলের ভিতরে সীমাবদ্ধ ব্যক্তি নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে পুরো জাতি শ্রদ্ধা করে। জাতি তাকে আগামী বাংলাদেশের নেতৃত্বে অপরিহার্য বলে মনে করে।’
তিনি জানান, জামায়াত আমির সফল অপারেশনের ১০ দিন পর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে নিজ বাসায় ফিরছেন। তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে বাংলাদেশেই অপারেশন করাবেন।
ডা. তাহের আরও বলেন, ‘জামায়াতের আমির দুই সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন, এরপর তিন সপ্তাহ পর জনসমক্ষে সক্রিয় হবেন। ডা. শফিকুর রহমান আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন এখন, দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, দুই সপ্তাহ রেস্ট নেবেন। তিন সপ্তাহের পর স্বাভাবিক কাজে একটিভ হতে পারবেন।
মেডিকেল টিমের অন্যতম সদস্য ডা. শহীদ বলেন, ‘চিকিৎসার পরে তার শরীরের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। আমরা তার সার্জারি পরবর্তী অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট। দুই সপ্তাহ পর পুনরায় পরীক্ষা হবে।’
অপারেশনের পর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেছিলেন, ‘তিনটি বাইপাস করার কথা ছিল, আমরা চারটি বাইপাস করেছি যেন কোনো দিক থেকেই সমস্যা না হয়। কোনো জটিলতা ছাড়াই সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।’
গত ২ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক এই অস্ত্রোপচারে অংশ নেন।