নিজস্ব প্রতিনিধি: দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোহাটি গ্রাম থেকে মাহবুবুর রহমানের পুত্র মোঃ অলিদ (৯) অপহরণের পর উদ্ধার হয়েছে। অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় একই এলাকার ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নম্বরবিহীন ২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার সময় ভিকটিম মোঃ অলিদ (৯), পিতা মোঃ মাহবুবুর, সাং লাখোহাটি, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনাকে অপহরণকারী (১) নাহিদ (১৮), পিতা তরিকুল, (২) ফয়সল (১৮), পিতা হাফিজুর রহমান, (৩) আহাদ (১৮), পিতা মৃত হামিদ, (৪) হাসিব (১৮), পিতা সোলায়মান, (৫) বায়েজিদ (১৮), পিতা ফিরোজ শেখ, সর্ব সাং-লাখোহাটি, থানা-দিঘলিয়া, জেলা-খুলনা, দুইটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে আড়ুয়া ফাঁকা মাঠে নিয়ে আটক করে রাখে এবং মোবাইল নম্বর ০১৭২১৯৩৫৩২৫ হতে ভিকটিমের চাচার মোবাইল নম্বর ০১৭২৭-২৭৯৮৬৮ তে বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন সংবাদ পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং দিঘলিয়ার থানা এলাকার সমস্ত খেয়াঘাটে পুলিশ মোতায়েন করেন, যাতে ভিকটিমকে দূরে কোথাও নিয়ে যেতে না পারে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা ভিকটিমকে আড়ুয়া ফাঁকা মাঠের মধ্যে ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন এবং ভিকটিমকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীনের দূরদর্শী পদক্ষেপে ও তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় এবং ডিএসবির গোপন সোর্সের সঠিক সংবাদের ভিত্তিতে অপহরণকৃত শিশু উদ্ধার ও অপহরণকারী আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।”