তারেক রহমান জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ভারত বিরোধী শক্তির ধারক ও বাহক

এম. আকতারুজ্জামান: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং গণতন্ত্রের মা আপোসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১/১১ সরকারের নির্যাতিত এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের রোশনালে পড়া এক বীর যোদ্ধা দেশ নায়ক তারেক রহমান। তিনি অত্যন্ত ভদ্র এবং মার্জিত চরিত্রের অধিকারী । তার সহধর্মিনী একজন ডাক্তার, একমাত্র মেয়ে জয়মা রহমান লন্ডনে পড়াশোনায় কৃতিত্বের সঙ্গে ডিগ্রিধারী একজন ব্যারিস্টার।

তারেক রহমানকে নিয়ে অতীতে একটি মহল মিথ্যা খেলা খেলেছে। তার বিরুদ্ধে অগণিত মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মানি লন্ডারি সহ অগণিত মামলা দিয়েছে কিন্তু তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তদন্তে কোন সত্যতা খুঁজে পাইনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। এমন কোন চেষ্টা নেই যা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা হয়নি। তাকে ফাঁসানোর বিভিন্ন কলাকৌশল ফ্যাসিস্ট সরকার সৃষ্টি করেছিল কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি চুল পরিমাণ অভিযোগ দাঁড় করাতে পারেনি। বর্তমানেও সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল ও কথিত ছাত্ররা আবার মিথ্যা সাজিয়ে খেলা খেলতে চায় তারেক রহমান লন্ডনে যাওয়ার পর আজ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক দল বা কারো বিরুদ্ধে একটা ব্যাপার কথা বলেছে এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।
তারেক রহমানের ভাবনা প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার মা ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মত দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে।

দীর্ঘ ১৭ বছর ভারতের আজ্ঞাবহ সরকার ফ্যাসিট হাসিনার অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেও ভারতের বিপক্ষে রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। তার সাহসী বক্তব্যে ভারত পর্যন্ত কেঁপে উঠেছে। যত বাধা এসেছে দলকে সুসংগঠিত রাখতে নেতাকর্মীদের বুকের মধ্যে আগলে রেখেছেন শুদুর লন্ডনে থেকেও। মাঝেমধ্যেই ভিডিও কনফারেন্সে নেতাদের খোঁজখবর নিয়েছেন তাদের ভালো-মন্দ দেখার চেষ্টা করেছেন। তাইতো তারেক রহমানকে দলের একজন নেতা ও ভুলতে পারেনি বা দল ছেড়ে অন্য কোথাও যায়নি । দীর্ঘ ১৭টি বছর প্রবাসে থেকেও এদেশের মানুষের কথা বলেছেন, এদেশের গণতন্ত্রের কথা বলেছেন, তিনি বলেছেন এ দেশ সবার, সবার উপরে দেশ, গণতন্ত্রের লড়াই বলেছেন আমাকে ভোট দিতে হবে এমন কোন বিষয় নয় গণতন্ত্র ফেরাতে আমার হাতকে শক্তিশালী করেন আপনাদের ভোটের অধিকার আমি প্রতিষ্ঠিত করব। তাই প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে তারেক রহমানের প্রতি যে ভালোবাসা তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে চায় আগামী দিনগুলোতে।

৫ ই আগস্টের পর তারেক রহমান দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে যুক্ত থাকার কারণে ৬ হাজারেরও বেশি নেতা কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন যা আর অতীতে কখনো দেখা যায়নি।কোন রাজনৈতিক দলে এরকম উদাহরণ আছে কিনা সন্দেহ।

বর্তমানে একটি মহল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে । যখনই তারেক রহমানের দেশে আসার কথা শুনছে তখনই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। ভাবছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে তারেক রহমানের দেশে আসা বাঁধাগ্রস্ত হবে। বিষয়টি এরকম নয় তারেক রহমান স্বাধীনতার ঘোষকের ছেলে, বাংলাদেশের ছেলে, তিনি বাংলাদেশে থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। কোন অশুভ শক্তি তারেক রহমানের দেশে আস ঠেকাতে পারবেন না।

বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ চালাচ্ছে বিএনপি বা তারেক রহমান নয়। জনগণের কাছে একটা ভুল মেসেজ দিচ্ছে একটি মহল। সব রকমের চাঁদাবাজি অন্যায়-আপকর্ম বিএনপি করছে আসলে তা নয়, তারেক রহমান জিয়াউর রহমানের ফটোকপি তিনি কোন চাঁদাবাজকে বিশৃঙ্খলা কারীকে দলে আশ্রয় দিবেন না। আসলে এনসিপি জামাত চরমোনাই যা করছে তা ঢালাওভাবে মিডিয়া প্রকাশ করছে না। সম্প্রতি ইমাম হত্যা, মসজিদে ঢুকে জামাত শিবিরের কর্মীরা ইমামকে হত্যা করে। পুরাতন ঢাকার মিটফোর্ডে পাথর হত্যাকান্ডের সঙ্গে ব্যবসায়িক কোন্দল জড়িত কেউ কেউ বলছে এটা দুজন সমন্বয়কের সৃষ্টি। তার দায়ভার বিএনপির ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু কিছু টুকরো দল বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মিছিল পর্যন্ত করেছে যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।

বর্তমানের দেশে বন্যা পরিস্থিতি চলমান বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙ্গন এবং নিম্নঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। দক্ষিণ বাংলা বিশেষ করে খুব ঝুঁকিতে রয়েছেন।। হাজার হাজার মানুষ কষ্ট করছেন। মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে এনসিপি নামক দলটির উঠতি বয়সী ছেলেরা লেগে নেমে শাপলার পানিতে উল্লাস করছে। এটাই হলো রাজনৈতিক পার্থক্য

যেখানে ছাত্রদল যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল জাসাস সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের খাদ্য সামগ্রী এবং পোষাকাদি বিতরণ করছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করবেন সবার উপরে দেশ। দেশের মানুষ মিলাতে পেরেছেন।

সম্প্রতি রাজনৈতিক বিশ্লেষকধর্মী সাংবাদিক মোঃ ইলিয়াস হোসাইন ও পিনাকি ভট্টাচার্যের একটি বক্তব্য থেকে স্পষ্ট তারেক রহমানের হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ।

যারা লাফালাফি করে নতুন পার্টি করি ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনেই তারা জয়লাভ করবে এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মানুষ নাক সিট কাচ্ছে। গ্রামে সাধারণ মানুষের কাছে যান গ্রামের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা আপনাদের আছে? তারেক রহমান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গেলে একটু ভেবেচিন্তে করবেন তারেক রহমান আপনাদের মত উড়ে এসে জুড়ে বসে নি। রাজনৈতিক পরিবারে তার জন্ম রাজনীতি থেকে তার উঠে আসা।

আমি উদীয়মান এনসিপির দু চারজন সদস্যকে বলছি স্বপ্ন থাকা ভালো সেটা যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত না হয়। সুতরাং এমন কথা বলবেন না যা শুনলে মানুষ হাসে।

মানুষকে ভালোবাসুন মানুষের কাছে যান আপনাদের সমন্বয়ক দুইজন অন্তবর্তী কালীন সরকার আছে তাদের কৃতকর্ম মানুষ লক্ষ্য করছে ১৭ বছরে আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আর আপনাদের পিয়ন গত তিন মাসে ৩০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এটা কি চিন্তা করা যায়? এরপরও আপনারা ক্লিন ইমেজের মানুষ দাবি করেন আপনারা সংস্কার করবেন কি সংস্কার করবেন আপনার তো নিজেরাই সংস্কারিত হননি। আপনারা মেক্সিন নিয়ে বিমানে ওঠেন যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *