চ্যানেল7বিডি ডেক্স: ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ শপথ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় কংগ্রেসের হলঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেবেন। এবার ঠান্ডার কারণে প্রথমবারের মতো অভিষেক অনুষ্ঠান ইনডোরে হচ্ছে। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রাম্প আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন।
নির্বাচনী জয়ের পর চ্যালেঞ্জগুলো
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তবে তার বিতর্কিত পরিকল্পনা ও মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিবাসন নীতি, সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ, চীনের পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি, এবং জলবায়ু চুক্তি বাতিলের পরিকল্পনা তাকে আলোচনার শীর্ষে এনেছে।
বিক্ষোভের মুখে শপথ
ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভও দানা বেঁধেছে। হাজারো নারীসহ অসংখ্য মানুষ তার শপথের আগে পথে নেমেছেন। তারা দাবি করেছেন, ট্রাম্পের নীতিমালা তাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করতে পারে।
প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতা
২০১৭ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন ট্রাম্প। তার মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রকে জলবায়ু ও বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়া, অভিবাসন সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ, এবং চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের মতো পদক্ষেপ আলোচিত হয়েছিল। প্রথম মেয়াদেই ট্রাম্প দুবার অভিশংসিত হন, যদিও সেনেটে তাকে রক্ষা করা হয়।
দ্বিতীয় মেয়াদের পরিকল্পনা
শপথের পর প্রথম দিনেই ট্রাম্প ১০০ নির্বাহী আদেশে সই করতে পারেন বলে জানা গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
অভিবাসন নীতি: অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বন্ধ।
শুল্ক নীতি: আমদানি পণ্যে ১০%-৬০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ।
জলবায়ু নীতি: প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসা এবং ফেডারেল জমিতে ড্রিলিং সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: ইউক্রেন ও গাজার সংঘাত বন্ধ এবং ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল।
নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার শিকার হতে পারে। তাছাড়া ক্যাপিটল দাঙ্গার কারণে দায়ের করা মামলাগুলোও তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে ট্রাম্প
শপথ অনুষ্ঠানে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, হাঙ্গেরির ভিক্টর অরবান, এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতো বিশ্বনেতারা উপস্থিত থাকবেন।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতিমালা প্রভাবিত হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে কৌতূহল রয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স, আলজাজিরা, সিবিএস নিউজ।