চ্যানেল7বিডি ডেক্স: ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রধান উপদেষ্টা, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশে ৯০ দিনের জন্য সব দেশের মার্কিন সহায়তা স্থগিত করলেও রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএসএইডের সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। তিনি জানান, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ড. খলিলুর রহমান মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে ইউএসএইডের পুষ্টি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকার বিষয়টি আলোচিত হয়।
রোহিঙ্গা সংকটে মার্কিন ভূমিকা
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় জনগণের জন্য পুষ্টি ও খাদ্য সহায়তায় কাজ করছে। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদান করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে প্রায় ২০০ কোটি ডলার।
মার্কিন নির্বাহী আদেশের প্রভাব
২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক নির্বাহী আদেশে সব দেশের জন্য মার্কিন সহায়তা স্থগিতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই আদেশের আওতায় কোন দেশগুলো পড়ছে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।
মার্কিন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পরও ইউএসএইডের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সহায়তা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
বিভ্রান্তি ও সরকারের বার্তা
নির্দেশনায় সব দেশের জন্য সহায়তা স্থগিতের কথা উল্লেখ থাকলেও বাংলাদেশে এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। কিছু গণমাধ্যমের বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন এড়াতে সরকার আরও স্পষ্ট তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট অফিস (ওএমবি) ৯০ দিনের মধ্যে বৈদেশিক সহায়তার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে। এই সময়কালে কোন কোন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বা বন্ধ হবে, তা নির্ধারণ করা হবে।
ইসরায়েল ও মিসরের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম
নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্থগিতাদেশ রদের ক্ষমতা রাখে। এর আওতায় ইসরায়েল ও মিসরকে সহায়তা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটে মার্কিন সহায়তার প্রশংসা করে ড. ইউনূস এ ধরনের মানবিক উদ্যোগকে আরও বিস্তৃত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: ইউএনবি নিউজ