চ্যানেল7বিডি ডেক্স: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে নিজের নাম জড়ানোর পর যুক্তরাজ্যের সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। আজ মঙ্গলবার তিনি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি হিসেবে মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে খালার ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে বিনা মূল্যে একাধিক সম্পত্তি পাওয়ার অভিযোগ ওঠার পর তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন, যা তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখে।
প্রধানমন্ত্রীর জবাব
টিউলিপের পদত্যাগপত্রের জবাবে কিয়ার স্টারমার একটি চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি টিউলিপের অবদানকে স্বীকৃতি দেন এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। চিঠির মূল অংশগুলো হলো:
প্রিয় টিউলিপ,
আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমি আপনার পদত্যাগ গ্রহণ করছি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব পালনকালে যে প্রতিশ্রুতি ও অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে ব্যাংকিং হাব চালু এবং ১০০তম সাইট উদ্বোধনের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এছাড়া, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করতে এবং চ্যান্সেলরের ম্যানশন হাউস বক্তৃতার সফলতায় আপনার অবদান অনস্বীকার্য।
আমি এও স্পষ্ট করতে চাই যে, স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস নিশ্চিত করেছেন যে আপনার বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং আর্থিক অনিয়মেরও কোনো তথ্য মেলেনি। সত্য উদ্ঘাটনে সহযোগিতা করার জন্য এবং নিজেকে তদন্তের জন্য উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনি ব্রিটেনের জন্য আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যেতে যে বিভ্রান্তি দূর করতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি। ভবিষ্যতে আপনার জন্য দরজা সবসময় খোলা থাকবে।
সশ্রদ্ধ,
কিয়ার স্টারমার
পরিস্থিতির গুরুত্ব
কিয়ার স্টারমার চিঠিতে টিউলিপের নিষ্পাপ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাঁর পদত্যাগ লেবার পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রভাব আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও উল্লেখযোগ্য হতে পারে।
টিউলিপের পদত্যাগ লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে এবং ব্রিটিশ রাজনীতিতে নতুন দৃষ্টিকোণ সৃষ্টি করেছে।