চ্যানেল7বিডি ডেক্স: প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন কবে হবে তা জুলাই সনদের ওপর নির্ভর করছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এ বিষয়ে সংলাপ করছে।
জাতীয় নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তা জুলাই সনদের ওপর নির্ভর করছে, জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
নির্বাচনের সময় নির্ধারণে জুলাই সনদের গুরুত্ব
প্রেস সচিব বলেন, জুলাই সনদের ওপর নির্ভর করবে আমাদের নির্বাচন কবে হবে। তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিছু সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, আর নির্বাচনের পর নতুন সরকার বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে।
শনিবার বিকেল তিনটায় ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শফিকুল আলম। এর পরপরই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ শুরু হয়, যেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সভাপতিত্ব করছেন।
জুলাই সনদ কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রেস সচিব জুলাই সনদের ব্যাখ্যায় বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা হবে ভবিষ্যৎ সংস্কারের মূল ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, অনেক সংস্কার এমন রয়েছে যা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে মূল ঐকমত্যের জন্য রাজনৈতিক সংলাপ প্রয়োজন।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সংলাপের ভূমিকা
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পথে রয়েছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য জাতীয় ঐকমত্য জরুরি, আর এই সংলাপ সেই পথচলার সূচনা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন ও লক্ষ্য
গত বুধবার সরকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহসভাপতি করা হয়েছে।
কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
✔ জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান: আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী
✔ পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান: সফররাজ হোসেন
✔ নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান: বদিউল আলম মজুমদার
✔ বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন প্রধান: বিচারপতি এমদাদুল হক
✔ দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান: ড. ইফতেখারুজ্জামান
সংলাপে মূল আলোচনার বিষয়
কমিশন আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন সংস্কার নিয়ে আলোচনা করবে। জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট শক্তিগুলোর মতামত নেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: বাসস