অনলাইন ডেক্স: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ বিকাল ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যারা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তারা এ ঘোষণা দেবেন। শহীদ মিনারে বিপুল জনসমাগমের প্রস্তুতি চলছে, যেখানে ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।
৩ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে একদফার ঘোষণা এসেছিল এই শহীদ মিনার থেকেই। এবারও একই স্থান থেকে আসছে নতুন বিপ্লবের বার্তা।
তবে এই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল একে দুরভিসন্ধিমূলক মনে করছে। তাদের দাবি, সরকারবিরোধী আন্দোলনের এই নতুন অধ্যায় দেশের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা বাড়াতে পারে। ছাত্র অধিকারসহ কয়েকটি ছাত্রসংগঠন জনসমাগমে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে, যদিও কিছু সংগঠনের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন।
ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা উঠে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুজিববাদী সংবিধান, ১/১১-এর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া এবং শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে গুম-খুনের বিষয়গুলো এতে উল্লেখ থাকতে পারে। পিলখানা, শাপলা চত্বরসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, ভারতবিরোধী অবস্থানের কারণে সংঘটিত ঘটনাগুলো এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ইস্যুগুলোতেও আলোকপাত করা হতে পারে।
শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানাবেন এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে। একইসঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানানো হবে।
এদিকে, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, এটি বর্তমান সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটি প্রচেষ্টা, যা আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে। তিনি আরও বলেন, এ ঘোষণার পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ইন্ধন রয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও উত্তাল হতে যাচ্ছে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সাধারণ মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে আজকের ঘোষণাপত্র, যেখানে উঠে আসবে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ও পরিবর্তনের আহ্বান।