এ.বি.এম.হাবিব : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নওগাঁ (মান্দা-৪) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের সমর্থনে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মান্দা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বিশাল মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে মান্দা এসসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় ৬ সহস্রাধিক মোটরসাইকেল এবং হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করেন। কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ ও সুশৃঙ্খল এই শোভাযাত্রা এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করে।
র্যালিটি মান্দা ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড, সুতিহাট, জলছত্র মোড়, মৈনম, কুলিহার, পাজরভাঙ্গা, জোত বাজার ও নতুন ব্রিজ হয়ে প্রসাদপুর অতিক্রম করে বিজয়পুর ও দেলুবাড়ি হয়ে সাবাইহাট বাজারে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন নওগাঁ মান্দা-৪ আসনে জামায়াতের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী ও জেলা আমির খন্দকার আব্দুর রাকিব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাওলানা মোস্তফা আল আমিন, ব্যবসায়ী ফোরামের জেলা সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, উপজেলা আমির মাওলানা আমিনুল ইসলাম, সেক্রেটারি মোয়াজ্জেম হোসেন, সহ-সেক্রেটারি ইলিয়াস খান, মাস্টার রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রকীবসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, যুব বিভাগ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, পেশাজীবী ফোরাম, আইনজীবী ফোরাম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এই বিশাল শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে খন্দকার আব্দুর রাকিব বলেন, “এই শোভাযাত্রা কোনো প্রদর্শনী নয়—এটি ইসলামের পক্ষে জনতার জাগরণ। মানুষ এখন ইসলামের পক্ষে সংগঠিত হচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ,আগামীর মান্দা হবে দাঁড়িপাল্লার মান্দা।”
শোভাযাত্রা চলাকালে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী হাত নেড়ে অংশগ্রহণকারীদের অভিবাদন জানান। শিশু -কিশোর-যুবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ শোভাযাত্রায় যোগ দেয়। দাঁড়িপাল্লা সমর্থীত স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রামের পর গ্রাম। নারীরাও আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে শোভাযাত্রা উপভোগ করেন।
অংশগ্রহণকারীদের গায়ে ছিল একই নকশা ও স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। দুই সারিতে সুশৃঙ্খলভাবে হাজার হাজার মোটরসাইকেলের বহর আলাদা দৃশ্য তৈরি করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের শৃঙ্খলার প্রশংসা করেন।
তাদের ভাষ্য—৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মাঠে সক্রিয় হয়েছে এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থেকেছে, তাতে সারাদেশে তাদের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোটের সমীকরণ পাল্টে যেতে পারে, দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের সুঘ্রাণ পাচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।