নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার খিদিরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বীর আহম্মদপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের কিছু লোকের কারণে এক পরিবার চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি হলো ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. হানিফ মিয়ার পরিবার।
অভিযোগ অনুযায়ী, একই গ্রামের কাজল মিয়া, মুন্জিল মিয়া, মোতাহার, রাকিব, লাভলী বেগম ও সাবিনা আক্তার মিলে হানিফ মিয়ার বাড়ির একমাত্র চলাচলের রাস্তায় নিয়মিতভাবে ময়লা-আবর্জনা, ছাগলের মলমূত্র, মৃত সাপ এবং বাঁশের কঞ্চি ফেলে রাখে। এতে করে ওই পরিবারের চলাচলে মারাত্মক অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন রাস্তায় দুর্গন্ধে ভরে থাকে, ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা তো দূরের কথা, শ্বাস নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাস্তাটি সর্বক্ষণ নোংরায় ভরে থাকায় হানিফ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। বাড়ির আশেপাশে ময়লার স্তুপ জমে থাকায় সেখানে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে। এর ফলে পরিবারটির সদস্যরা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া ও চর্মরোগসহ নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে বাচ্চারা প্রায়ই জ্বর, মাথাব্যথা ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী মো. হানিফ মিয়া বলেন, “আমাদের রাস্তায় নিয়মিতভাবে ময়লা ফেলে রাখা হয়। এতে হাঁটা তো দূরের কথা, দুর্গন্ধে থাকা দায় হয়ে গেছে। মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে, পরিবারে ছোট-বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা চরম কষ্টে আছি।”
অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তরা শুধু ময়লা ফেলেই ক্ষান্ত নয়, প্রায় সময় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে করে পরিবারটি আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এদিকে, স্থানীয়দের একাধিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছে—ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যেন তারা আবারও স্বাভাবিকভাবে রাস্তা ব্যবহার করতে পারে এবং নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে পারে।