চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষে আহত ৩, পরিস্থিতি থমথমে

চ্যানেল7বিডি ডেক্স: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে গম কাটাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।

জানা গেছে, বাংলাদেশের সীমান্তবাসীরা শূন্যরেখায় জমিতে গম কাটতে গেলে ভারতের কিছু নাগরিক বাধা দেয়। এরপর তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে আম ও বরইগাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ভারতের নাগরিকদের হাঁসুয়ার আঘাতে দুইজন এবং পাথরের আঘাতে আরও একজন বাংলাদেশি আহত হন।

আহতদের পরিচয়: আহতরা হলেন:
মেসবাহুল হক ও মো. ফারুক, যারা হাঁসুয়ার আঘাতে আহত হন।
বিশ্বনাথপুর গ্রামের মো. রনি, যিনি ভারতের ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত হন।

স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের সময় ভারতীয়রা প্রায় ৩০টি আমগাছ ও শতাধিক বরইগাছ কেটে ফেলে। তারা বাংলাদেশের জনগণকে লক্ষ্য করে হাতবোমা এবং বিএসএফ প্রায় ১৫টি টিয়ারশেল ছোড়ে।

সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি
বাংলাদেশের সীমান্তবাসীরাও লাঠিসোটা, ইটপাটকেল এবং হাঁসুয়া নিয়ে প্রতিরোধে অংশ নেন। উত্তেজনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চরম অস্থিরতা দেখা দেয়।

৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক ইমরুল কায়েস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। একই সঙ্গে বিএসএফও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ
বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফ শূন্যরেখায় পতাকা বৈঠক করে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ নেয়। বৈঠকের পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও সীমান্তের উভয়দিকে মানুষের ভিড় এবং থমথমে পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে।

পূর্ববর্তী উত্তেজনার পটভূমি
এ সংঘর্ষের আগে চৌকা সীমান্তের ওপারে ভারতের সুখদেবপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের সংঘর্ষ রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।