আবু বকর ছিদ্দিক, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভোট কেন্দ্রের একমাত্র রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । শুকনো মৌসুমে যেমন তেমন, বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি বেড়ে চরম আকার ধারন করে । বর্ষা মৌসুমে পুরো রাস্তাটি যেন দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে মানুষের জন্য। গাড়ি তো দূরের কথা, হেঁটে চলাই মুশকিল। বর্ষাকালে শিক্ষক, শিক্ষিকাগণ যানবাহন পোস্ট অফিস মাঠে রেখে পায়ে হেঁটে কাঁদা মিশ্রিত জামা কাপড় নিয়ে স্কুলে যান। এসময় উপস্থিতি কমে যায় শিক্ষার্থীদের। একমাত্র রাস্তা হিসেবে ভোগান্তি বেড়ে যায় মাসকাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের দুর্ভোগ যেন এক অভিশাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় – মাসকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বৃহত্তম ময়মনসিংহের সর্ব বৃহৎ গরুর হাট, ইউনিয়নের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল, পোস্ট অফিস, দুইটি মহিলা মাদ্রাসা, একটি আদর্শ কওমি মাদ্রাসা, একটি গার্মেন্ট ও একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরি রয়েছে মাসকা গ্রামে। ফলে রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাসকা ও চকসাদক কোনাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের একমাত্র রাস্তা এটি। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষকে এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। এলজিইডির আইডিভুক্ত মাসকা চকসাদক কোনাপাড়া পর্যন্ত মাত্র ৪ কিলোমিটার রাস্তাটির এ বেহাল দশায় আর্থসামাজিক উন্নয়নেও ব্যাপক পিছিয়ে এলাকাবাসি। রাস্তাটির প্রবেশ দ্বারে কয়েক বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ইটের সলিং হলেও তা বর্তমানে ভেঙ্গেচুরে এবং পুকুর গর্বে অস্তিত্ব হারানোর পথে।
মাসকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন,স্বাধীনতার এত বছর পরেও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা এমন সত্যিই দুঃখজনক। মাসকা গ্রামের আবুল হাসেম সরকার, সন্জুর রহমান,জুয়েল রানা, চকসাদক কোনাপাড়া গ্রামের হাদিস মিয়া,হুমায়ূন কবিরসহ এলাকার অনেকেই বলেন, আমরা চরম বৈষম্যের শিকার। সার্বিক স্বার্থে রাস্তাটি পাকাকরণ একান্ত জরুরি বলে উল্লেখ করেন মাসকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।
বেহালদশাগ্রস্ত এই রাস্তাটির বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার জানান – এ রাস্তাটি ধরে একটি সরকারি বিদ্যালয় ও উল্লেখযোগ্য ভোট কেন্দ্র থাকায় অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ। তাই সার্বিক স্বার্থে রাস্তাটির ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাস্তাটির চরম দূরাবস্থার কথা স্বীকার করে কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল আমিন সরকার বলেন, বাজেট না থাকায় এ রাস্তাটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।