হাবিব : গাজীপুর জেলার টঙ্গী-পূর্ব থানায় আলোচিত ধর্ষক আলামিন শিপনকে প্রায় ৮ মাস পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন টুঙ্গি-পূর্ব থানার পুলিশ। টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদুল ইসলাম জানান,পলাতক আসামী, এমন অমানবিক ঘটনা ঘটিয়ে গা ঢাঁকা দিয়ে ছিল। তিনি বলেন, আসামী খুব চালাক হওয়ায় ডিজিটাল নেটওয়ার্ক পদ্ধতি ব্যবহার করেও তার লোকেশন পাওয়া যাচ্ছিনা তবে আসামীকে গ্রেফতারের জন্য তাদের সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যহত ছিল বলে জানান।
সেটার পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার (৭ জুলাই) গাজীপুর টুঙ্গি-পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.ফরিদুল ইসলামের দিক-নির্দেশনা এস আই মো.শাহিদুল ইসলাম সক্রিয় ফোর্স নিয়ে গভীর রাতে ধামরাই থানা ও আশুলিয়া থানার মাঝামাঝি এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি আলামিন শিপনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানান। আলোচিত এই অমানবিক ধর্ষক আলামিন শিপন ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা সদরের রামরাইল গ্রামের খন্দকার বাড়ীর আব্দুল মতিন মোল্যার ছেলে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, চাকুরী সুবাদে শরিফুল ইসলাম সবুজ নামের এক ব্যাক্তি টুঙ্গি-পূর্ব থানার পাগাড় ঝিনু মার্কেট সংলগ্ন মোতালেব খানের বাড়িতে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভাড়া থাকেন। শরিফুল ইসলাম সবুজের শালকের সাথে মাঝে মধ্যে বেড়াতে যেত আলামিন শিপন। এক পর্যায়ে আলামিন শিপন ধর্মবোন বানায় সবুজের স্ত্রী রফিজা আক্তার শিমুকে। গত ৩০/১০/২৪ ইং তারিখে সকালে প্রতিদিনের মত সবুজ সাহেব আফিসে ও তার ছেলে, মেয়ে স্কুলে চলে গেলে, লম্পট শিপন সবুজ সাহেবের স্ত্রী রফিজা আক্তার শিমুকে বাড়ীতে একা পেয়ে, জোর-জবরদস্তি করে ধর্ষণের চেষ্টা করে, এতে শিমু নিজেকে রক্ষা করার অনেক চেষ্টা করেন, ডাকচিৎকারও করেন, কিন্তু পাষন্ড ধর্ষক আলামিন শিপন অমানবিক ভাবে তাকে কিল-ঘুষি মারতে লাগলে, আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেন না শিমু। ধর্ষণ শেষে আলামিন শিপন পালিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে দেখতে পায় তাকে। শরিফুলের স্ত্রী শিমু আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন কিন্তু বাড়ীর মালিকের স্ত্রী ও লোকজন সকলে মিলে তাকে উদ্ধার করেন এবং তার স্বামীকে খবর দিয়ে, টুঙ্গি-পূর্ব থানায় গত ১/১১/২০২৪ ইং তারিখে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ধর্ষককে গ্রেফতারের স্থানীয় বাসীরা ওসি সাহেবকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।