আনোয়ার হোসেন রানা,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর,পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলা সংলগ্ন সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) স্থাপনের দাবিতে শুরু হয়েছে গণসংযোগ-২০২৫ শীর্ষক গণআন্দোলন।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে সাকোঁয়া ব্রিজ বাস্তবায়ন মঞ্চ,গাইবান্ধা—এর আহবানে কর্মসূচিতে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজারও মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সাকোঁয়া ব্রিজ বাস্তবায়ন মঞ্চ,গাইবান্ধা—এর সভাপতি অ্যাডভোকেট কুশলাশীষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু,মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, জাহাঙ্গীর কবির তনু, ফারুক কবির, হাসান মোরশেদ দিপন,খিলন রবিদাসসহ অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই গাইবান্ধা জেলা দেশের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে উপেক্ষিত ও অবহেলিত। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শিল্পায়নের অভাবে এই জেলা পিছিয়ে পড়েছে উন্নয়নের মূল ধারার থেকে। এই প্রেক্ষাপটে জেলার সার্বিক অগ্রগতির লক্ষ্যে গাইবান্ধা সদর, পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর সংলগ্ন সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় একটি ইপিজেড স্থাপনের দাবি করা হচ্ছে।”
তারা আরো বলেন,“গাইবান্ধার সাবেক জেলা প্রশাসক ড. কাজী আনোয়ারুল হক সরকারের নিকট এ বিষয়ে পূর্বে প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়েছিল। ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান, সড়ক, রেল ও নৌ যোগাযোগের সুবিধা, হেলিপ্যাডের উপস্থিতি এবং প্রশস্ত শ্রমবাজারের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাটি ইপিজেড স্থাপনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয়রা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকা উপেক্ষা করে একটি বিরোধপূর্ণ স্থানে, আদিবাসী সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর বসতি এলাকায় ইপিজেড স্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয় সাঁওতালরা এই উদ্যোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন।”
আন্দোলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুশলাশীষ চক্রবর্তী বলেন,“সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় ইপিজেড নির্মিত হলে গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সাদুল্লাপুর, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ স্বল্প খরচে দ্রুত কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারবেন। এতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বৃদ্ধি পাবে এবং গাইবান্ধা জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চার হবে। জাতীয় অর্থনীতিতেও এ অঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।”