আনোয়ার হোসেন রানা,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার ভরতখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শওকত মির্জা রোস্তম এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও আওয়ামী লীগ দোসরদের পুনর্বাসন করার প্রতিবাদে ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন ।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উল্যাবাজারের ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২নং ভরতখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,“নামমাত্র আহ্বায়ক কমিটিতে আমাকে রাখা হয়েছে। এছাড়া ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে নাম রাখা হয়নি। বর্তমান ২নং ভরতখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শওকত মির্জা রোস্তম তার লোকজন নিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করেছেন। এছাড়া ২০ জানুয়ারি ২০২৫ সালের ইউনিয়ন কমিটিতে অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন। এই কমিটিতে যাদেরকে সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ পদবী দেয়া হয়েছে তারা গত ৫ই আগস্ট এর আগে বিএনপির সাথে ছিলেন না। এরা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাথে এবং কঠোর বিএনপি বিরোধী। ইউনিয়নের প্রবীণ নেতাদের সাথে মত বিনিময় না করেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দোসরদের ২ নং ভারতখালী ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে এসব আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্টদের নিয়ে এলাকায় মীমাংসা বাড়িঘর দখল ও হুমকি -ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন তারা।তাদের অপকর্মে ২ নং ভারতখালী ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন,“এই আহ্বায়কের মাধ্যমে প্রায় দুইশতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রবেশ করেছে এই ইউনিয়ন বিএনপিতে। এসব নিয়ে জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপি সভাপতিকে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেননি তারা। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি জেলা বিএনপিকে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ভরতখালী ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক শাহিন মিয়া,ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক জীবন চন্দ্র, মৎস্যজীবী দলের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান,স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন সভাপতি মো. মালেক মিয়া, সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি আনিসুর রহমানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে,২নং ভরতখালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শওকত মির্জা রোস্তম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,“অভিযোগ করতেই পারেন তবে এসব অভিযোগ ভূয়া ও ভিত্তিহীন।”
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন,“কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”