আনোয়ার হোসেন রানা,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকার প্রস্তাবিত চিনিকলের জমিতে ইপিজেড দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের চারমাথা এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় ছাত্র জনতা।
এসময় মহাসড়কের উভয়পাশে তিন-চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দূরপাল্লার যানবাহন আটকে যানজটের সৃষ্টি হয়। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইপিজেড বাস্তবায়নের বিষয়টি সরকারকে অবগত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এই কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য দেন, গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহায়ক এমএ মতিন মোল্লা, সংগঠক রফিকুল ইসলাম, মোকছেদ ইসলাম ও ডিপটি প্রধান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আবু রায়হান, আবদুর রাজ্জাক, সাঁওতাল নেতা মেখায়েল বেসরা প্রমূখ।
বক্তারা ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর চিনিকলের জমিতে ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইপিজেডের নাম দেওয়া হয় ‘রংপুর ইপিজেড’। বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) কর্তৃপক্ষকে ইপিজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোট জমির মধ্যে ৪৫০ একর জমি বেপজাকে বুঝিয়ে দেয় চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
ইপিজেড হলে দুই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সেখানে সাঁওতালরা অগ্রাধিকার পাবে। কিন্তু একটি মহল এর বিরোধিতা করে আসছে। অথচ ইপিজেড স্থাপনের দাবি গাইবান্ধার মানুষের প্রাণের দাবি।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় রংপুর চিনিকলের আওতায় ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আছে। এই জমিতে উৎপাদিত আখ রংপুর চিনিকলে মাড়াই হতো। চিনিকলে আখ মাড়াই বন্ধ হলে সাঁওতালরা দফায় দফায় এই জমি দখল করেন। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এসব জমিতে উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে গেলে সাঁওতালদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ পরিস্থিতিতে সরকার শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রংপুর চিনিকলের জমিতে ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।