গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের ভাতা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ

চ্যানেল7বিডি ডেক্স: জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য সরকার একটি ভাতা কার্যক্রম চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মাসিক ও এককালীন ভাতা প্রদান এবং তাদের উপযুক্ত সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি নতুন অধিদপ্তর গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই লক্ষ্যে ১৩ পৃষ্ঠার একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অধিদপ্তরের জনবল কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদনের পরই কার্যক্রম শুরু হবে।

অধিদপ্তরের কাঠামো ও নীতিমালা
খসড়ায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের জন্য চারটি ক্যাটেগরিতে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গুরুতর আহতরা আজীবন সাহায্যের আওতায় থাকবেন, আর কম গুরুতর আহতরা এককালীন বা দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা পাবেন। শহীদ পরিবার এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রক্রিয়ার অগ্রগতি
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালা এই মাসেই অনুমোদন পেতে পারে। এটি গেজেট আকারে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর হবে। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা এবং সচিব জানিয়েছেন, সরকার দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে এবং অধিদপ্তরের কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কমিটি গঠন ও দায়িত্ব
খসড়া অনুযায়ী, শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয়, বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে পৃথক কমিটি গঠন করা হবে। এসব কমিটি তালিকা প্রণয়ন, মতামত প্রদান এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

সমস্যা ও অসন্তোষ
গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলকে (জামুকা) অধিদপ্তরে রূপান্তরের দাবি জানাচ্ছেন।

সরকারের এ উদ্যোগ শহীদ পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও সহায়তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে কার্যক্রমের বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও যথাযথ নজরদারি নিশ্চিত করা জরুরি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।