সারোয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া : আমবাগ রোডে অবস্থিত ‘রসোরাজ’ মিষ্টির কারখানায় লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি উৎপাদন এবং শ্রমিকদের বেতন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের দাবি, কারখানার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর; উপকরণ খোলা জায়গায় রাখা হয় এবং শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া কাজ করতে হয়।বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, কারখানায় ১৮ বছরের নিচের শিশুশ্রমিকও কাজ করছে।
এক শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমরা কখনও সঠিকভাবে বেতন পাই না। অনেক সময় বেতন দেরিতে দেওয়া হয়, আবার কখনও অর্ধেক বেতন দিয়ে বাকি পরে দেওয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া ছোটদেরও কাজ করানো হয়, যা খুবই অনৈতিক।”
কারখানার মালিক বিকর্ণ ঘোষ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, শিশুশ্রম, বকেয়া বেতন ও অস্বাস্থ্যকর উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে তারা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। খাদ্য নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, যে কোনো মিষ্টির কারখানা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স, স্যানিটারি লাইসেন্স এবং প্রয়োজনে BSTI অনুমোদন থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ‘রসোরাজ’ কারখানাটি এসব অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তারা ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ও শিশু শ্রম রোধের জন্য দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, তৎপর মনিটরিং ও তদন্তের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এভাবে শিশুদের কাজে লাগানো, বেতন অনিয়ম এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করা পুরো এলাকার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
স্থানীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগ পেলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।