জেলা প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার গাংগাইল মৌজায় ১.৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে ফলজ গাছ ও চাষাবাদ করিয়ে আসছেন কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে বদিউল আলম (উল্লাস) ও আতিক আলম। ঢাকায় বসবাসের সুবাদে এবং নিজে এলাকায় না থাকায় স্থানীয় দু’জন ব্যাক্তি মোঃ আব্দুস শহিদ এবং মোঃ মোস্তফা’র নিকট চাষাবাদ ও দেখাশোনার দায়িত্ব দেন আতিক আলম।
এরই মধ্যে মোঃ আব্দুস শহিদ এবং মোঃ মোস্তফা’র কাছ থেকে আতিক আলম জানতে পারেন অভিযুক্ত সাতারপুর বিলপাড় এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে ভূমিদস্যু শুভ লোকজন নিয়ে তার জমিতে বেকু দিয়ে মাটি ও গাছ কাটা শুরু করেছেন। এসময় মোঃ আব্দুস শহিদ এবং মোঃ মোস্তফা তাকে গাছ ও মাটি কাটতে নিষেধ করলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ ও হত্যার হুমকি দেয় ভূমিদস্যু শুভ।
খবর পেয়ে দ্রুত নিজের জমিতে গিয়ে তাদের উপস্থিতি দেখতে পান আতিক আলম। গাছ ও বেকু দিয়ে মাটি কাটার কারন জানতে চাইলে তার কোন সদউত্তর না দিয়ে উল্টো মারধর করতে তেঁড়ে আসেন ভূমিদস্যু শুভ। এসময় প্রায় ৩ লক্ষ টাকার গাছ এবং ৫ লক্ষ টাকার মাটি কেটে নিয়ে যায় ভূমিদস্যু শুভ।
এবিষয়ে জমির মালিক আতিক আলম বলেন, গত ২৫ জানুয়ারী শনিবার সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে আবারও শুভ তার লোকজন সাথে নিয়ে এসে জমিতে মাটি কাটা শুরু করলে আমি তাদের নিষেধ করি কিন্তু তারা আমার কোন কথা না শুনে আমাকে আমার জমি থেকে চলে যেতে বলে এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে হত্যার হুমকি দেয় ভূমিদস্যু শুভ। পরে আমাকে মারার জন্য তেঁড়ে আসলে আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের বিষয়টি অবগত করি। পরে এবিষয়ে করিমগঞ্জ থানায় ভূমিদস্যু শুভকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
আতিক আলম আরও বলেন, বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি, ভূমিদস্যু শুভ যে কোন সময় আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি করতে পারে। তাই আমি প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষন ও আমার জমি ক্ষতিপূরণসহ আমাকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শুভর সাথে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।