অনলাইন ডেক্স: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়নি, সামনে পরীক্ষা আরও আছে। এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা জনগণের পক্ষের যুদ্ধ। গণতন্ত্রের পক্ষের যুদ্ধ। এটি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আমাদেরকে অব্যাহতভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আগস্টের ৫ তারিখের আগ পর্যন্ত সংগ্রাম ছিলো স্বৈরাচার পতনের। এখন সংগ্রাম দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশ গড়ার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শিরোনামে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে।তারেক রহমান বলেন, এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ও একইসঙ্গে এদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করার সংগ্রাম শুরু হয়েছে। এই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে পারবেন একমাত্র বিএনপির নেতাকর্মীরা।
অতীত ঘাটলে দেশে গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র ও নারীদের অধিকার বলতে যা বুঝায় তা বিএনপি নিশ্চিত করেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়নি, সামনে পরীক্ষা আরও আছে। এটি এমন একটি যুদ্ধ, যা জনগণের পক্ষের যুদ্ধ। গণতন্ত্রের পক্ষের যুদ্ধ। এটি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়ী হতে হলে আমাদেরকে অব্যাহতভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, এই নির্বাচনের পুলসিরাত পার হতে হলে জনগণের পেছনে আমাদের থাকতে হবে। জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে এবং জনগণকে আমাদের সঙ্গে রাখতে হবে।
‘আপনার বিরুদ্ধে, আপনার দলের বিরুদ্ধে, আপনার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। দুষ্টু লোকদের দুষ্টামি কিন্তু থেমে নেই। সেটি আমাদের দলের বাইরেই হোক বা দলের ভেতরেই হোক। দেশে হোক বা দেশের বাইরে হোক। কারণ দেশের অর্থ সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদের দিকে অনেকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
‘এদেশের মধ্যে যদি বিশৃঙ্খলা লাগিয়ে রাখা যায়, জনসমর্থনহীন সরকার যারা জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করে না,এমন সরকারকে যদি ক্ষমতায় রাখা যায় তাহলে এদেশ থেকে অনেকে অনেক কিছু লুটেপুটে নিয়ে যেতে পারবে।
মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লা, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদা বেগম ছাড়াও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রহিমা শিকদার, মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।
মানিকগঞ্জ প্রান্তের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
বক্তব্য দেন বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়্যেদুল আলম বাবুল, মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, সহ-সভাপতি ড. খন্দকার আকবার হোসেন বাবলু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুখসানা খানম মিতু, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহেনা আক্তার রানু, অর্পণ বাংলাদেশের সভাপতি বীথিকা বিনতে হোসাইন প্রমুখ।