নিজস্ব প্রতিবেদক :নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগপন্থী আমলাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে সচিবালয় সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে থাকা দলটির ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।
মঙ্গলবার (২০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয়ে কর্মরত ৪৪ জন আমলার তালিকা এবং প্রশাসনের ৫০ জনের মতো কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করেছে এ প্লাটফর্মটি ।
এসময় শহীদ মুনতাছির রহমান আরিফের বাবা মোহাম্মদ গাজীউর রহমান তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ফ্যাসিবাদির বিলুপ্তি চেয়েছিল। চেয়েছিলাম একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে দেশ ভাল চলবে। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে যারা ইন্ধন দিয়েছে, তারা এখনও বহাল তবিয়তে। আমরা যে মামলা করেছি তার একজন অপরাধীকেও ধরা হয়নি। না ধরলে বিচার কিভাবে হবে। উল্টো আমাদের হুমকি দিচ্ছে। গত ১৬ বছর যারা জেলে ছিল তারা তো বাড়িতে সুখে দিন কাটাচ্ছে, তারা তো একটা মামলা করেনি। মামলা কি শুধু আমরা করব? গাজীউর রহমান আরও বলেন, ‘যারা হত্যা করেছে তারাই আবার এই ঘটনার তদন্ত করছে। তাহলে কিভাবে সত্য উদঘাটন হবে? কিভাবে বিচার হবে?’
শহীদ আরিফের বাবা বলেন, ‘আমরা জানি এখনও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মকর্তারা বহাল রয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে শহীদ মুহতাসির রহমান আলিফের বাবা মোহাম্মদ গাজীউর রহমান তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম পাঠ করে শোনান।
তালিকায় মোট ৪৪ জন আমলার নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘জুলাই ঐক্য’। তারা হলেন— পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমূল আহসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহানা আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এমদাদুল্লাহ মিয়া, ভূমি আপিল বোর্ডের সচিব মো. ইব্রাহিম, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. নাজমা মোবারেক, ডাক ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন সদস্য মো. রুহুল আমিন, দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন চেয়ারম্যান মো. আমিনুল আহসান, বিপিএটিসি রেক্টর সচিব সাঈদ মাহবুব খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. মোকাব্বের।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাহদুর রহমান, জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. শহিদুল্লাহ, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক, শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব, এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) নাসরিন আফরোজ।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (চুক্তিভিত্তিক) মোহাম্মদ জয়নুল বারী, সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান (চুক্তিভিত্তিক) মো. মুসলিম চৌধুরী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আশরাফ উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইশরাত চৌধুরী। বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক (সচিব) শরিফা খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারী।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), জাহেদা পারভীন, ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) এ এম আকমল হোসেন আজান, প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য, ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সংযুক্ত সচিব মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) গাজী মহম্মদ সাইফুজ্জামান, বাংলাদেশ চিনিও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) ডক্টর লিপিকা ভদ্র। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) মো. আব্দুল কাইয়ুম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুরোতে চুক্তিভিত্তিক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) সালেহ আহমেদ মোজাফফর, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কেয়া খান, জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ বশিরুল আলম।
ওয়াশিংটন ডিসির অতিরিক্ত সচিব ইকোনমিক মিনিস্টার মেহেদী হাসান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজী এনামূল হাসান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুফিদুর রহমান।