আল-আসাদের শাসনামলের গণকবরে এক লাখের বেশি লাশের সন্ধান

অনলাইন ডেক্স: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে একটি গণকবরে অন্তত এক লাখ মানুষের মরদেহ সমাহিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অ্যাডভোকেসি সংস্থা সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স। সংস্থাটি জানায়, এই ব্যক্তিরা বাশার আল-আসাদের শাসনামলে হত্যা করা হয়। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সংস্থার পক্ষ থেকে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সিরিয়ান ইমার্জেন্সি টাস্কফোর্স-এর প্রধান মুয়াজ মোস্তাফা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দামেস্ক থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে আল-কুতাইফাহ অঞ্চলে এই গণকবরটি অবস্থিত। এটি পাঁচটি চিহ্নিত গণকবরের মধ্যে অন্যতম। মোস্তাফা জানান, কয়েক বছর ধরে তদন্ত করে তিনি এসব গণকবর শনাক্ত করেছেন।

তার দাবি, আল-কুতাইফাহর গণকবরে অন্তত এক লাখ মানুষকে সমাহিত করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

মোস্তাফা আরও বলেন, চিহ্নিত পাঁচটি গণকবর ছাড়াও সিরিয়ায় আরও অনেক অজ্ঞাত গণকবর রয়েছে। এগুলোতে সিরিয়ানদের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের লাশও রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তবে রয়টার্স জানিয়েছে, মোস্তাফার এ দাবিগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

২০১১ সালে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হলে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এই সংঘর্ষে কয়েক লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়।

মোস্তাফা জানান, আসাদের পতনের পর তিনি সিরিয়া পরিদর্শন করেন। তার দাবি, আসাদের বিমানবাহিনীর গোয়েন্দা শাখা সামরিক হাসপাতালগুলো থেকে মরদেহ সংগ্রহ করত। এরপর এসব মরদেহ বিভিন্ন গোয়েন্দা কেন্দ্রে পাঠানোর পর গণকবরে দাফন করা হতো।

মোস্তাফার ভাষ্য অনুযায়ী, গণকবরে মরদেহ পাঠানোর প্রক্রিয়াটি দামেস্ক পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হতো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।