আইসিইউতে চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা শাখা (আইসিইউ) এর ১ নম্বর বেডে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিনারা (৫৩) নামে এক রোগীর চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু হয় বলে নিহতের স্বামী অভিযোগ করেন। আইসিইউ’তে কর্তব্যরত নার্স তহুরা খাতুন (৪৫) ও চিকিৎসক বিপ্লব (৪২) কে ওই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়। এবিষয়ে নিহতের স্বামী আলাউদ্দিন ওই হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় গতমাসের ২৮ তারিখে নিহত জেসমিনারাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের ৭২ নং কক্ষে কর্তব্যরত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ৩০ জুন রোগীকে আই.সি.ইউ ১নং বের্ডে ভর্তি করানো হয়। চলতি মাসের ১ তারিখ ১১টা ৪৫ মিনিটে অভিযুক্ত চিকিৎক ও আইসিইউ ইনচার্জ রাউন্ড চলাকালীন নিহত রোগী ওই বেডে কেন জানতে চায়। সেসময় রোগীর স্বামী উর্দ্ধতন চিকিৎসকের পরামর্শে রোগীকে আই.সি.ইউ বেডে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানান। এরপর অভিযুক্ত আই.সি.ইউ ইনচার্জ ওই রোগীকে ওই বেডে রাখা যাবে না এবং অন্য বেড বা কেবিন এ নিয়ে যেতে হবে বলে জানান। এসময় পরীক্ষা নিরীক্ষা পূর্বক ৭২ নং রুমে কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎক আই.সি.ইউ তে রাখতে বলেছে বলে জানান নিহত রোগীর স্বামী।। পরবর্তীতে চিকিৎক চলে গেলে অভিযুক্ত আই.সি.ইউ ইনচার্জ তহুরা খাতুন নিহত ব্যক্তির অক্সিজেন মাস্ক প্রয়োজন নেই বলে খুলে দেন এবং সেখান থেকে চলে যান। অভিযুক্ত আইসিইউ ইনচার্জ চলে যাওয়ার পর নিহতের অবস্থা আশংকাজনক হয়ে যায়। এসময় নিহতের স্বামী অন্য নার্সদের ডেকে পালস চেক করে জানতে পারেন যে তাঁর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিহতের স্বামী আলাউদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, “আমার স্ত্রীকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়িত্বরত নার্সের বিচার চাই।”

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মান্নান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, “এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। একটি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *