নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি প্রতিষ্ঠান সিএনএস লিমিটেড-এর মাধ্যমে বিআরটিএ-কে পরিশোধিত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. সজীব মন্ডল (২৭) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় সিএনএস লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. জিয়াউল আহসান সরোয়ার বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রতারণার কৌশল: মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সজীব মন্ডল ও তার সহযোগী ১০-১২ জনের একটি চক্র বিআরটিএ’র গাড়ির মালিকানা বদল, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত লেনদেন থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। সিএনএস লিমিটেড বিআরটিএ’র এসব লেনদেন সম্পন্ন করতে মোবাইল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করত। কিন্তু প্রতারক চক্র প্রযুক্তিগত কারসাজি করে মোটা অংকের অর্থ বিআরটিএ’র অ্যাকাউন্টে জমা না দিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেয়। এই চক্রটি এতই শক্তিশালী মুহূর্তের মধ্যেই অপকর্মের কাজ সেরে ফেলেন। প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি ।
শুধু ২০ জানুয়ারি থেকে ১০ মে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে ৩৮৯টি ভুয়া লেনদেনের মাধ্যমে আনুমানিক ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
উদঘাটন ও গ্রেফতার: ১০ মে ২০২৩ তারিখে বিআরটিএ’র সঙ্গে নথি মিলিয়ে দেখা যায়, বিপুল অঙ্কের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। পরবর্তীতে র্যাব-৪ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সজীব মন্ডলের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়।
১৫ মে ২০২৩ র্যাব কাফরুল থানাধীন মায়ের দোয়া বিজনেস সেন্টার থেকে আনিসুর রহমান নামে এক সদস্যকে আটক করে। তার কাছ থেকে চারটি বিআরটিএ মানি রিসিট উদ্ধার করা হয়, যা প্রতারণায় ব্যবহার করা হয়েছিল।
আইনি প্রক্রিয়া: মামলা নং ১৭/১৪৮, তারিখ ১৫/০৫/২০২৩ কাফরুল থানায় দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তভার পান এসএম মাহমুদুল হাসান, যিনি পরবর্তীতে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষপাতিত্বের কারণে মূল আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। মামলার বাদীও পরবর্তীতে আর আগ্রহ দেখাননি। এমনকি আদালতের নোটিশের পরও তিনি উপস্থিত হননি। এর রহস্য কি ? ফলে আসামিরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছে।