অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে দেশের অপরাধ জগৎ উত্তপ্ত : জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে

মনির হোসেন জীবন : এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের অপরাধ জগৎ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আর সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধ পথে দেশে আসছে বিভিন্ন মডেলের আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ। আন্ডারওয়াল্ডের ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এবং তাদের সহযোগীরা দিনদিন আরো তৎপর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশ থেকে দেশে প্রবেশ করছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বোমা তৈরির বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম। এক বছরেও হদিস নেই পুলিশের লুট হওয়া ১ হাজার ৪০৫টি অস্ত্র ও আড়াই লাখ গুলির। বৈধ লাইসেন্সধারীদের জমা না দেওয়া ১ হাজার ৬৫৪টি অস্ত্রও এখন অবৈধ হয়ে অপরাধীদের হাতেই রয়ে গেছে । সেই সাথে দিবালোকে প্রকাশ্যেই পাল্লা দিয়ে বাড়েই চলেছে খুন, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। খবর সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্থ তথ্য সূত্রের।

তথ্য অনুসন্ধান ও বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৬ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে অনুষ্ঠিতব্য ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠ সরগরম হয়ে উঠতে শুরু করেছে। ফলে দেশে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বাড়ার আশঙ্কা জনমনে দেখা দিয়েছে। এনিয়ে দেশের সর্বস্তরের জনগন অনেকটাই সঙ্কিত ও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দলবাজি, খুন, ডাকাতি, পূর্ব শত্রুতা, আধিপত্য বিস্তার, টাকার ভাগবাটোয়ারা ও হুমকীর ঘটনায় রাজধানীতে খুনের ঘটনা ক্রমশই বাড়ছে। অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়ি কিংবা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখানো, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা প্রায় ঘটছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করার পর মাঠের চিত্র পাল্টে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় এলাকাগুলোতে অনেক প্রার্থীর প্রতিপক্ষরা মহড়া দিচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হলেও ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের প্রায় ৩০ শতাংশ উদ্ধার হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে কিছু অস্ত্র স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রের হাতে এখনো রয়েছে। এসব অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী চক্র নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, সাভার, যশোর ও সিলেট অঞ্চলে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরে অস্ত্রের প্রদর্শন ও ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলছেন, নির্বাচনের আগেই যেভাবে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে, তাতে তো আমাদের নারী ভোটার ও সংখ্যালঘু ভোটারদের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে। নির্বাচনের আগেই এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।

তথ্য অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট একাধিক বিশ্বস্থ সূত্র এবং প্রশাসন সূত্রে বলছে, পাশ্ববর্তী দেশগুলোর সীমান্তের অন্তত ২০/ ২৫টি পথ দিয়ে দেশে অবৈধ অস্ত্র ঢুকছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে- বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি, থানচি, নেফিউ পাড়া, তমব্রু, কক্সবাজারের টেকনাফের কুতুবপালং ও উখিয়া, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং, আখাউড়া, বি-বাড়িয়া, রাজশাহীর গোদাগাড়ি, চাপাই
নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, রহনপুর, সোনা মসজিদ, আজমতপুর, বিলভাতিয়া, ঝিনাইদহের মহেশপুরের জুলুলি, সাতক্ষীরার কলারোয়ার তলুইগাছা ও শাঁকারা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, মেহেরপুরের গাংনী, ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট, পাহাড়ি গারো আদিবাসী এলাকা ও কুষ্টিয়ার প্রাগপুর সীমান্ত এলাকা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তারা জানান, গত বছর সরকার পরিবর্তনের পর ৪৬০ থানা ও ১১৪ ফাঁড়ির পিস্তল, রাইফেল, এসএমজি, শটগানসহ ৫ হাজার ৭৫৩টি অস্ত্র ও ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২টি গুলি লুট হয়। গণভবন থেকে লুট হয় এসএসএফের ৩২টি ভারী অস্ত্র। লুট হয় কাঁদানে গ্যাস লঞ্চার, শেল, স্প্রে, বিভিন্ন বোরের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্ত্রধারীরা অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। লঙ্ঘন করছে মানবাধিকার। নির্বাচনের আগে সহিংসতা ঠেকাতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা জরুরি।

এলিট ফোর্স র‌্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনীয় সব কিছুই করছে র‌্যাব। অপরাধীকে আমরা অপরাধী হিসেবেই দেখি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সব প্রস্তুতিই আছে। এখনো নির্দেশনা পাইনি। অবৈধ অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাবের) গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন- থানা থেকে লুট হওয়া বেশির ভাগ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এসব ব্যবহৃত হচ্ছে হত্যা, হামলা, ছিনতাই, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির ঘটনায়। সীমান্ত পেরিয়ে আসছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ।

এদিকে র‌্যাব সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৮৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‌্যাবের লুট হওয়া ৯০, পুলিশের ২২৮ এবং ১৬৬টি অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজারের বেশি গুলি। থানা ও ফাঁড়ি থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের বড় অংশ এখনো অপরাধীদের হাতে। পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, বাকিগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ৫১ হাজার ৭৫৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে দেওয়া হয় ১০ হাজার ৮৪৫টির। এগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করে জমা চায় সরকার। জমা পড়ে ৯ হাজার ১৯১টি অস্ত্র। জমা না পড়া ১ হাজার ৬৫৪টি অস্ত্র এখন অবৈধ।

সূত্র আরো জানায়, গত ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি (গত বুধবার) সেনা সদর দপ্তরে সেনাবাহিনীর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের পরিচালক (মিলিটারি অপারেশন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্টের পর লুট হওয়া অস্ত্র- গোলাবারুদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ উদ্ধার হয়েছে। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি তল্লাশি করে আটটি বিদেশি পিস্তল, ১৪টি ম্যাগাজিন, ২৬ রাউন্ড অ্যামুনিশন, ২.৩৯ কেজি গান পাউডার ও ২.২৩ কেজি প্লাস্টিক বিস্ফোরক উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সীমান্তের ওপার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে। এ ঘটনার পর গত ৩১ অক্টোবর সুনামগঞ্জের ছাতকের সীমান্তবর্তী এলাকা ছনবাড়ী থেকে বিজিবি ২৫০ গ্রাম প্লাস্টিক বিস্ফোরক ও দুইটি ডেটোনেটর উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আইএসপিআর। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ৪ ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া চলতি বছরের গত ১৮ জুন রাজধানীর মিরপুরে গুলি করে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীর ২১ লাখ টাকা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। ১৯ জুন রাজধানীর পল্টনে মাদক কারবারিদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। ১ আগস্ট রাতে নগরীর মহাখালীতে গুলি করে জামাল হোসেন নামে এক যুবককে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন দারুস সালামে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গুলি করে হত্যা করা হয় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী তাহমিনা রহমানকে। এ দুই হত্যায় জড়িতরা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগী- এমনটিই বলছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এর আগে ৬ আগস্ট মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে গুলিতে মারা যান শাহেন শাহ নামের এক যুবক। গুলিবিদ্ধ হন শুভ নামের আরেক যুবক। ১৭ আগস্ট আবারও সংঘর্ষ হয়। চলে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত। ৩০ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবার সংঘর্ষ হয়। ৪ সেপ্টেম্বর গুলিতে মারা যান অটোরিকশাচালক সাদ্দাম হোসেন সনু।

২২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে পরদিন সকাল পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি। এর মধ্যে চুয়া সেলিমের স্ত্রী নাগিন বেগম এবং ২৩ সেপ্টেম্বর চারকো ইরফান গুলিবিদ্ধ হন। ২৪ সেপ্টেম্বর গুলিবিদ্ধ সাগর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে মারা যান। তিনি পেশায় কসাই ছিলেন। ৩১ মে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিতে মারা যায় রাসেল নামের এক শিশু। ২১ জুন নরসিংদীর পলাশে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেনের মৃত্যু হয়। ১৫ জুন ঘোড়াশালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন ১০ জন। ২০ জুন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শিবুউ মারমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ৩ আগস্ট কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাবেক ইউপি মেম্বার আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে প্রেমিকের হাতে খুন হন শাহিদা ইসলাম নামে এক নারী। গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার কালারপুল এলাকায় ভারী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা। শটগান হাতে থাকা সন্ত্রাসী সাজ্জাত হোসেনের নাম জানতে পারে পুলিশ। গত ৭ অক্টোবর খুলনায় ইমরান মুন্সী (৩২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে মো. সাজ্জাদ নামে ছাত্রদলের এক কর্মী নিহত হন। সর্বশেষ ৬ নভেম্বর খুলনার পূর্ব রূপসায় সোহেল হাওলাদার (৩৫) নামে এক প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

দেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশে আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত অস্ত্রবিহীন পরিবেশ নিশ্চিতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা। তারা সতর্ক করে বলেন, অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার শুধু নির্বাচনি সহিংসতা নয়, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকেও বড় ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ অপরাধীদের আটক করতে প্রয়োজনে যৌথ বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জোরদার সাঁড়াশি অভিযান চালাতে হবে। সম্প্রতি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। এটা অভিযানে আরো সুফল বয়ে আনবে।

তাহলে দেশের জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। বর্তমান সরকারের কাছে দেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের এমনটাই প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com