চ্যানেল7বিডি ডেক্স: আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই সময়ে সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যুগোপযোগী সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান সংস্কার ও উদ্যোগ:
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়:
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।
স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস:
সরকারি আইন কর্মকর্তাদের জন্য স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
অনলাইন সত্যায়ন সেবা:
ডকুমেন্ট সত্যায়নের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে রূপান্তর করা হয়েছে, যা জনসাধারণের সময় ও খরচ সাশ্রয় করছে।
‘গায়েবি’ মামলা প্রত্যাহার:
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে দায়ের করা মামলাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিবাহ কর বাতিল:
বিবাহ নিবন্ধনে থাকা অযৌক্তিক কর বাতিল করা হয়েছে।
সাইবার আইন সংস্কার:
সাইবার আইন সংশোধন বা বাতিলের বিষয়ে কাজ চলছে, এবং এ সংক্রান্ত মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিচারক নিয়োগ নীতিমালা:
যোগ্য বিচারক নিয়োগ নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন:
বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হয়েছে।
অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম:
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল।
অধঃস্তন আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন।
দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইন যুগোপযোগীকরণ।
বিচার ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন, ই-কোর্ট ও ই-ফাইলিং চালু।
২৩টি জেলা জজ আদালত ভবন নির্মাণ ও ১০টি জেলা জজ আদালত সম্প্রসারণ।
৮টি বিভাগীয় জেলায় আইনগত তথ্য সেবা কেন্দ্র চালু।
বিচারক, রেজিস্ট্রার ও সরকারি আইন কর্মকর্তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন ও বিচার কার্যক্রম:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি।
৩ শতাধিক অভিযোগ তদন্তাধীন।
১১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা, ৩৫ জন কারাগারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন ও নতুন প্রসিকিউটর নিয়োগ।
অন্তর্বর্তী সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বিচার ও আইন সংস্কারের এই উদ্যোগগুলো ভবিষ্যতে দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করবে।
তথ্যসূত্র: বাসস