রাজধানীর উত্তরায় মিমি ভ্যারাইটিজ লিঃ এর অভিনব প্রতারণা !

বিশেষ প্রতিবেদন: রাজধানীর উত্তরা ৯নং সেক্টরের ৭/সি রোডে একটি ফ্ল্যাটের ঠিকানা ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে আসছে মিমি ভ্যারাইটিজ লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে পাওয়া যায়নি মিমি ভ্যারাইটিজ লিঃ নামের কোন প্রতিষ্ঠান। ফেসবুকে একটি পেজ খুলে ভারতের চিনি, সয়াবিন তেল, নকল প্যারাশুট নারিকেল তেল, বাদাম, ভারতের পানি পুরি (ফুসকা) ইত্যাদি বিক্রির কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই প্রতারক কোম্পানী মিমি ভ্যারাইটিজ লিঃ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী ভারতের চিনি, সয়াবিন তেল, নকল প্যারাশুট নারিকেল তেল, বাদাম, ভারতের পানি পুরি (ফুসকা) ইত্যাদি পন্য অনলাইনে বিক্রি করে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাদের দেয়া অফিসের ঠিকানায় যোগাযোগ করলে তারা প্রতিষ্ঠানের কোন লিগ্যাল কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাহলে কি তাদের প্রতিষ্ঠানটি অবৈধ বা ভূয়া প্রশ্ন করলে তার কোন সদউত্তর দিতে পারেনি।

সূত্রে জানা গেছে, টাকার বিনিময়ে ক্রেতাদের পন্য দেয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছে না ক্রেতারা। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিমি খাতুন একজন তালাকপ্রাত্য এবং একাধিক পুরুষের সাথে সক্ষ্যতা করে বিয়ের কথা বলেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে প্রতিবেদকের কাছে। এছাড়াও তার প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করে কোন পন্য না পাওয়া একাধিক ভূক্তভোগী থানায় অভিযোগ করেছেন বলেও জানা গেছে।

এবিষয়ে মিমি খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলবো না, আপনারা চাইলে মামলা করতে পারেন।

এবিষয়ে একজন ভূক্তভোগী বলেন, আমি এই মিমি ভ্যারাইটিজ লিঃ এ ২০২৩-২৪ সালে ৩০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছি। আমাকে বিভিন্নভাবে মুনাফা দেয়ার কথা থাকলেও তার কোনটাই করেননি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিমি খাতুন। পরবর্তীতে আমি আমার টাকা ফেরত চাইলে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি প্রদান এবং আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দেয়ার ভয় দেখান এই প্রতারক মিমি খাতুন।

ভূক্তভোগী আরও বলেন, আমি মিমি খাতুনের গ্রামের বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করেছি, তার গ্রামের নাম ভিয়েল, থানা চিরিরবন্দর, দিনাজপুরে গিয়েও তার সম্পর্কে ধারনা নিয়ে এসেছি। তার গ্রামেও এলাকাবাসী তাকে ভালো চরিত্রের বলেনি। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন সেই ভূক্তভোগী, মামলা নং-১৯৫৪।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।