মনোহরদীতে, ফ্যাসিস্টের সহযোগীকে সভাপতি বানানোর পাঁয়তারা মাদরাসা সুপারের

মোঃ তাজুল ইসলাম বাদল, মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি: নরসিংদীর মনোহরদীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের এক সহযোগীকে সভাপতি বানানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন স্থানীয় চার ব্যক্তি। উপজেলার পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদরাসার সুপার হাদিউল ইসলামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। 

অভিযোগে জানা যায়, গত মার্চ মাসের ৯ তারিখ পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। সে অনুযায়ী নয়জন প্রার্থী আবেদন করেন। এদের মধ্যে সরদার আছমত আলী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেন মুরাদ, সর্বলক্ষণা আলিম মাদরাসার উপাধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন, মনোহরদী সরকারি কলেজের প্রভাষক খলিলুর রহমান, মনোহরদী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক লুৎফুর রহমান উল্লেখযোগ্য। 

অভিযোগে আরও জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল পাঁচজন প্রার্থীকে না জানিয়ে গোপনে সভা ডাকেন সুপার হাদিউল ইসলাম। সেখানে সুপারের অনুগত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমানসহ চারজনকে উপস্থিত দেখিয়ে বাকিদের অনুপস্থিত দেখানো হয়। মাসুদকে এক নম্বর প্রার্থী দেখিয়ে উপস্থিত লোকজনদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এভাবে গোপনে সভাপতি নির্বাচনের অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন মাদরাসার সুপার।

অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান ওই মাদরাসার সহকারী সুপার ওবায়দুল্লাহর আপন ফুফাতো ভাই। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় সাবেক শিল্পমন্ত্রী তাকে সভাপতি মনোনীত করেছিলেন। এছাড়া আওয়ামীলীগের একাংশের সমর্থনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন। সে সময় তিনি ক্ষমতাবলে সহকারী সুপার ওবায়দুল্লাহকে পাতানো পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন। 

মাদরাসার সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে সুপারের অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে মাদরাসার সুপার হাদিউল ইসলাম বলেন, ফরহাদ হোসেন মুরাদ সরকারি বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে পেশি শক্তির বলে মাদরাসার এডহক কমিটির সভাপতি হতে চান। কিন্তু আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে সভাপতি নির্বাচন করতে চাইলে তিনি বাঁধা দেন। এমনকি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। 

মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, মাদরাসার কমিটির বিষয়ে আমার কাছে লিখিত এসেছে। যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *