নওগাঁয় পবিত্র রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু

চ্যানেল7বিডি ডেক্স: পবিত্র রমজান উপলক্ষে নওগাঁতে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চালু হওয়া এই বিশেষ দোকানে দুধ, ডিম, ছোলা, চিনি, মুড়ি, চিড়া, তেল ও গরুর মাংসসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ন্যায্যমূল্যের দোকানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়, স্বস্তি প্রকাশ
উদ্বোধনের পর থেকেই দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরে অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে আরও প্রয়োজনীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা এবং কার্যক্রমটি নিয়মিত চালু রাখার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ন্যায্যমূল্যে কী কী পণ্য পাওয়া যাচ্ছে?
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১১টি উপজেলা প্রশাসন ন্যায্যমূল্যের দোকান পরিচালনা করছে। এখানে নির্ধারিত দামে মিলবে—

চিনি: ১২৫ টাকা/কেজি
মুড়ি: ৯২ টাকা/কেজি
ভাজা চিড়া: ৯০ টাকা/কেজি
কাঁচা চিড়া: ৬৮ টাকা/কেজি
ছোলা ও মসুর ডাল: ১০০ টাকা/কেজি
সরিষার তেল: ১৮০ টাকা/লিটার
ডিম: ৪০ টাকা/হালি

কম দামে গরুর মাংসের বিশেষ উদ্যোগ
সাধারণ মানুষ যাতে রমজানে আমিষ জাতীয় খাবার হিসেবে গরুর মাংস রাখতে পারেন, সে জন্য স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনুল আবেদীন জানান,
ক্রেতারা প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার ২৫০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত গরুর মাংস ৬২০ টাকা/কেজি দরে কিনতে পারবেন।

পুরো রমজানজুড়ে চলবে ন্যায্যমূল্যের দোকান
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন,
রমজান মাসজুড়ে এই ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলো চালু থাকবে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ যাতে সহজে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন, সে জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টিসিবির ট্রাক সেল সার্ভিসও চালু রয়েছে।

তিনি আরও জানান, রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে, যাতে কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দাম নিতে না পারেন।

নওগাঁবাসীর জন্য এই উদ্যোগ স্বস্তি বয়ে আনবে এবং রমজানের বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্যসূত্র: বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *