টঙ্গীতে শিশু ধর্ষণ,মীমাংসার চেষ্টা স্থানীয়দের

নাঈমুল হাসান:  গাজীপুরের টঙ্গীতে এক শিশুকে(৯) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহষ্পতিবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) টঙ্গীর শিলমুন পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রায় এগারো দিন পর  নির্যাতিতা শিশুটির বাবা বাদি হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম রুহুল আমিন(৩৫)।সে মুন্সিগঞ্জ  জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার পশ্চিম বেতকা গ্রামের এইতো আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই রুহুল আমিন পলাতক রয়েছে।
তিনি টঙ্গীর শিলমুন পশ্চিমপাড়া এলাকার জনৈক মজিবুর রহমানের ভাড়া বাড়িতে বাস করতেন।

থানার উপপরিদর্শক(এসআই) মো.এহতেসাম নির্যাতিতা ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়,  অভিযুক্ত রুহুল আমিন পেশায় একজন মুড়ি বিক্রেতা। নির্যাতিতা শিশুটি ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবারের সাথে বাস করতো। রুহুল আমিন শিশুটির পার্শবর্তি জনৈক মজিবুরের ভাড়া বাসায় একাই বাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে শিশুকে নিজ কক্ষে ময়লা পরিষ্কার করতে ডেকে নিয়ে যায়।পরে তাকে ধর্ষণ করে।পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি জানতে পারলে রুহুল আমিন পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী মতিউর রহমান মতি নামক এক ব্যক্তি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সালিশের আয়োজন করেন।সালিশে নির্যাতিতা শিশুটির বাবাকে ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবার আশ্বাস দেয়া হয়।
ঘটনার এগারো দিন পর নির্যাতিতা শিশুটির বাবা থানায় মামলা দায়ের করেন।

নির্যাতিতা শিশুটির বাবা বলেন, নির্যাতনের ঘটনার পর স্থানীয় মতিউর রহমান ওরফে কারেন্ট মতি ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আমাকে দেড় লাখ টাকা দেবার কথা জানায়। আমি টাকা না নিয়ে থানায় মামলা করেছি।

বিষয়টি জানতে মতিউর রহমান মতির মুঠোফোন যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন,এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা করা হয়েছে।তবে সালিশ বসিয়ে টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।