ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্যমেলা

চ্যানেল7বিডি ডেক্স: জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা জমে উঠেছে। শুরুতে দর্শনার্থীর সংখ্যা কম থাকলেও এখন ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিক্রেতারাও বিক্রিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

তবে মেলার মান নিয়ে অভিযোগও উঠেছে। দর্শনার্থীদের একাংশের দাবি, মেলার ভেতরে অনেক স্টলে নিম্নমানের পণ্য ফুটপাতে বিক্রির মতো করে সাজানো হয়েছে। চকবাজারের মানহীন প্রসাধনী, আচার, চকোলেট, ও শিশুদের খাবার স্টলগুলোতে দেখা গেছে, যেখানে পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও দাম রাখা হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।

একজন ক্রেতা রহমান আতিক জানান, “নকল প্রসাধনীতে নামিদামি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। গৃহস্থালি পণ্যগুলোর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে।”

এছাড়া পোশাক পণ্যের ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রতারণার অভিযোগ। শাল, থ্রিপিস, এবং তাঁতের শাড়ি ভারতীয়, পাকিস্তানি বা কাশ্মীরি বলে দাবি করা হলেও এগুলোর বেশিরভাগই স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিদেশি অংশগ্রহণে ঘাটতি
মেলার আরেকটি বড় অভিযোগ হলো বিদেশি অংশগ্রহণের অভাব। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মূল লক্ষ্য থাকে বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তবে এবারের মেলায় বিদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা খুবই কম। এমনকি কিছু বিদেশি স্টলেও দেশীয় পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মানহীন পণ্য এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার
মেলার ভেতরে নিম্নমানের পণ্যের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবারের দোকানগুলোও মেলার সৌন্দর্য নষ্ট করছে। মূল ভবনের পেছনের দিকে নকল হাজির বিরিয়ানিসহ প্রায় ১৫টি অস্বাস্থ্যকর খাবারের দোকান বসেছে। এসব দোকানের কারণে দর্শনার্থীরা হতাশ।

ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের মতামত
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, “মেলার লক্ষ্য হওয়া উচিত নতুন উদ্ভাবনে তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করা। কিন্তু নিম্নমানের পণ্য বিক্রি চলতে থাকলে মেলার উদ্দেশ্য সফল হবে না।

মেলার পরিচালক ও ইপিবির সচিব বিবেক সরকার বলেন, “আমরা মেলাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের মত, মেলার মান বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে কর্তৃপক্ষের আরও সক্রিয় উদ্যোগ প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *