গাজীপুর জেলার শ্রীপুর মোজাম্মেলের ধর্ষণের শিকার একাধিক মেয়ে ….সিরিয়াল ধর্ষণকারী মোজাম্মেল

প্রতিনিধি :হাসান : গত তিন মাস পূর্বে ১৬ বছরের মেয়ে লিলি (ছদ্দনাম) কে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে  যায় মোজাম্মেল। লিলির বাবা তোতা মিয়া মেয়েকে না পেয়ে নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। দীর্ঘ তিন মাস দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মোজাম্মেলের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে দিক-বি-দিক ছুটাছুটি করতে থাকেন তোতা মিয়া। কোন ধরনের সমাধান খুঁজে না পেয়ে, অবশেষে আজকের আলোকিত সকাল পত্রিকার অনুসন্ধান টিমের কাছে ছুটে আসেন তোতা মিয়া। মোজাম্মেলের খোঁজে গোপনে অনুসন্ধান শুরু করে টিম।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৭ তারিখ জানা যায়, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর টেপির বাড়ি ছাতির বাজার এলাকায় মোজাম্মেল তার নিজ বাড়িতে অপহরণকৃত মেয়ে লিলিকে নিয়ে অবস্থান করতেছে বলে নিশ্চিত হয় অনুসন্ধান টিম। পরবর্তীতে অনুসন্ধান টিমের তত্ত্বাবধানে পুলিশ সহ অভিযান চালিয়ে টেপির এলাকা থেকে ১৬ বছর বয়সের মেয়ে লিলি ( চদ্দনাম) কে  উদ্ধার করা হয়েছে ।আটক করা হয়েছে শ্রীপুর উপজেলার টেপির বাড়ি এলাকার সিরিয়াল ধর্ষণকারী মোজাম্মেলকে। গ্রেফতার হওয়ার পর পরই অনুসন্ধান টিমের কাছে ছুটে আসেন মোজাম্মেলের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়া মোজাম্মেলের সাবেক স্ত্রী। আঠারো মাসের শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন থানা, কোর্ট প্রাঙ্গণ। প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন মোজাম্মেলের নির্মম নির্যাতনের চিত্র। মোজাম্মেলের ধর্ষণের শিকার একাধিক মেয়ে বিচারের দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে ছুটে বেড়াচ্ছেন বলে জানান মোজাম্মেলের সাবেক স্ত্রী।

তথ্য সুত্রে জানা যায় ফ্লীম স্টাইলে মেয়েদের জোর পূর্বক ধর্ষণ করে সিরিয়াল ধর্ষণকারী মোজাম্মেল। প্রথমে রাস্তা ঘাটে উত্ত্যক্ত করে এবং নোংরা প্রস্তাব করে। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি করবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। কোন কিছুতেই কাজ না হলে মোজাম্মেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তার তার্গেট করা মেয়েটিকে জোর পূর্বক কিডন্যাপ করে আত্তো গোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে মেয়েটিকে জোর পূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে মেয়েটি যখন গর্ভবতী হয়ে যায়, তখন মোজাম্মেলকে বিয়ে করতে বল প্রয়োগ করে। এমনি লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন মোজাম্মেলের সাবেক স্ত্রী। এই রকম জঘন্য চরিত্রের মোজাম্মেলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন মোজাম্মেলের সাবেক একাধিক স্ত্রী ,লিলির বাবা তোতা মিয়া সহ এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *